মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাম্প্রতিক সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি তেলের পাইপলাইন কলোনিয়াল, মাংস সরবরাহকারী জেবিএস, সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় বড় ধরনের বেশ কয়েকটি সাইবার হামলার সঙ্গে রুশ হ্যাকারদের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে না পারলেও হোয়াইট হাউস থেকে একই সুরে কথা বলা হয়েছে। দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকে বাইডেন যে বিষয়টি তুলবেন, তা-ও বলা হয়েছে। তবে বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান বেশ কিছু বিষয়ে সম্মত হলেও সাইবার হামলার ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি। বরং বলছেন, আলোচনায় সম্মতিই তাঁদের আলোচনার মূল অগ্রগতি।
জেনেভায় জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ব্যাপারটা যখন সাইবার নিরাপত্তার, আমরা মূলত সে বিষয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছি। আমি মনে করি সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
‘মার্কিন তথ্যের’ বরাত দিয়ে পুতিন আরও দাবি করেন, ‘বিশ্বের বেশির ভাগ সাইবার হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লাতিন আমেরিকার দেশগুলো এবং যুক্তরাজ্য যুক্ত।’ প্রশ্ন করেন, ‘তালিকায় রাশিয়া কই?...রাশিয়া তালিকাতেই নেই।’
সাইবার হামলার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে এবং ‘কার কতটা দায়িত্ব নেওয়া উচিত, তা আলোচনার সময়ে সমাধান করতে হবে’ বলেও জানান তিনি।
সাইবার হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই ঝুঁকি রাশিয়াকেও মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পুতিন। বলেন, ‘এবং আমরা দেখছি, এই কাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার জগৎ থেকে সমন্বয় করা হচ্ছে। আমি মনে করি না মার্কিন প্রশাসন এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আগ্রহী।’
২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাবও অস্বীকার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে ফেসবুক এবং মার্কিন নীতিনির্ধারকেরা ২০১৭ সালে বেশ কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজের উল্লেখ করেন যেগুলো রাশিয়া থেকে পরিচালিত এবং মার্কিন নির্বাচনের বিষয়ে পোস্ট করত।
ইউক্রেন, আর্কটিক, নাভালনি এবং সাইবার হামলার ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
গত মাসে কলোনিয়াল পাইপলাইনে হামলার পর সাইবার হামলাকারীদের শনাক্ত করতে টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
সূত্র: ফক্স বিজনেস