বিজ্ঞান

অধ্যায়-১ 
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বিজ্ঞানের অধ্যায়-১ থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।
অর্পার গায়ে মশা কামড় দেওয়ামাত্র সে এটিকে হাতচাপা দিয়ে ধরে ফেলে। একটি ম্যাগনেফাইং গ্লাস দিয়ে সে এর উপাঙ্গ চক্ষু ও দেহাবরণ পর্যবেক্ষণ করল। পরবর্তী সময়ে সে তার পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের আলোকে এটির শ্রেণীগত অবস্থান বোঝার চেষ্টা করল।
প্রশ্ন:
ক. কোন পর্বের সব প্রাণী সামুদ্রিক?
খ. প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে তারা মাছ কোন ধরনের প্রাণী? ব্যাখ্যা করো।
গ. অর্পার পর্যবেক্ষণের আলোকে প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান জানা অর্পার প্রয়োজন কেন? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক.
একাইনোডারমাটা (Echinodrmata) পর্বের সব প্রাণী সামুদ্রিক।
উত্তর: খ.
প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে তারা মাছ অরীয় প্রতিসম প্রাণী। তারা মাছকে দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায়। এ জন্য তারা মাছ অরীয় প্রতিসম প্রাণী।
উত্তর: গ.
অর্পার পর্যবেক্ষণকৃত প্রাণীটি মশা, যা আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী। নিচে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণ প্রাণীটি আর্থ্রোপোডা পর্বের:
১. দেহ খণ্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
২. মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
৩. নরম দেহ কাইটিন-সমৃদ্ধ আবরণী দ্বারা গঠিত।
৪. এদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত।
উত্তর: ঘ.
পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী প্রাণীকুলকে গোষ্ঠীভুক্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণীবিন্যাস বলে। তত্ত্বীয় ও ফলিত উভয় জীববিজ্ঞানেই শ্রেণীগত অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অর্পা ওই প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য প্রাণী সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে। কম পরিশ্রম ও অল্প সময়ের মধ্যে প্রাণিজগতের অনেক সদস্য সম্পর্কে জানা ও শেখার জন্য শ্রেণীবিন্যাস প্রয়োজন। শ্রেণীগত অবস্থানের মাধ্যমে প্রাণীকুলের বিবর্তনের ধারা ও নতুন প্রজাতি শনাক্ত করা সহজ হয় এবং প্রাণীকুলের পারস্পরিক সম্পর্ক বা জাতিজনির বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। শ্রেণীগত অবস্থান জানার মাধ্যমে অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন প্রাণী বাছাই, বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের পশুপাখি উদ্ভাবন সহজতর হয়। এসব কারণেই অর্পার জন্য ওই প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান জানা দরকার।
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক
রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা