বিরাম চিহ্ন অংশ-১৪
প্রিয় শিক্ষার্থী, সমাপনী পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১০ নম্বর প্রশ্ন থাকবে ‘বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন’-এর ওপর। নম্বর থাকবে ৫। তোমাদের চর্চার জন্য নিচে এর কিছু নমুনা দেওয়া হলো।
৩৭.
জলপ্রপাত দেখতে চাইব কিন্তু পাহাড় দেখব না একি কখনো সম্ভব সম্ভব নয় কারণ পাহাড় বেয়ে জলের নিচে নামাটা না দেখে উপায় তো নেই কিন্তু এমন জলপ্রপাত কি হতে পারে না যা পাহাড়ের ওপর থেকে পড়ছে না আমাদের কাণ্ডজ্ঞান বলবে না পাহাড় থেকেই পড়তে হবে নইলে জলের প্রপাত বা পতন হবে কেমন করে।
উত্তর: জলপ্রপাত দেখতে চাইব, কিন্তু পাহাড় দেখব না—একি কখনো সম্ভব? সম্ভব নয়। কারণ পাহাড় বেয়ে জলের নিচে নামাটা না দেখে উপায় তো নেই। কিন্তু এমন জলপ্রপাত কি হতে পারে না যা পাহাড়ের ওপর থেকে পড়ছে না? আমাদের কাণ্ডজ্ঞান বলবে—না, পাহাড় থেকেই পড়তে হবে, নইলে জলের প্রপাত বা পতন হবে কেমন করে?
৩৮.
কিন্তু বিশ্ব ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি সে যে কী বিস্ময়কর বলে কাউকে বোঝান সম্ভবই নয় একমাত্র নিজের চোখে দেখলে তা বিশ্বাস হবে ব্যাপারটা এ রকম।
উত্তর: কিন্তু বিশ্ব-ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র। কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে! পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সে যে কী বিস্ময়কর, বলে কাউকে বোঝান সম্ভবই নয়। একমাত্র নিজের চোখে দেখলে তা বিশ্বাস হবে। ব্যাপারটা এ রকম।
৩৯.
সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে সামনের সবকিছু তো ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু কই কিছুই তো ভাসছে না ভাসছে না তার কারণ যে মাটির ওপর দিয়ে এই খরস্রোতা নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল।
উত্তর: সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে। সামনের সবকিছু তো ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কই? কিছুই তো ভাসছে না। ভাসছে না, তার কারণ—যে মাটির ওপর দিয়ে এই খরস্রোতা নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল।
৪০.
ছেলের কথা শুনে মা হাসেন বাবা কিন্তু হাসলেও ছেলের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন ওর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও আগে যে স্কুলশিক্ষক ছিলেন ছেলেটি কিন্তু বড় হতে থাকে প্রকৃতির অনেক কিছু নিয়েই তার নানা রকম ভাবনা আর জানার আগ্রহও বাড়তে থাকে।
উত্তর: ছেলের কথা শুনে মা হাসেন। বাবা কিন্তু হাসলেও ছেলের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও আগে যে স্কুলশিক্ষক ছিলেন। ছেলেটি কিন্তু বড় হতে থাকে। প্রকৃতির অনেক কিছু নিয়েই তার নানা রকম ভাবনা আর জানার আগ্রহও বাড়তে থাকে।
সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল, ঢাকা
পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল