ব্যাঙের আঙ্গুল ১৮টি

প্রশ্নোত্তর  অংশ-৪
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশে ৪টি প্রশ্নে ১২ নম্বরের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন লিখতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।

অধ্যায়-৮
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:
২. প্লাজমাসল কী?
উত্তর: অ্যান্ডোপ্লাজমের অংশ।
৩. কোন প্রক্রিয়ায় ‘ফুড কাপ’ তৈরি হয়?
উত্তর: সারকামফ্লুয়েন্স।
৪. গলজি বডির কাজ কী?
উত্তর: ক্ষরণ ও রেবনের কাজ করে।
৫. পরজীবিত্ব কাকে বলে?
উত্তর: পোষক ও পরজীবীর মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাকে বলা হয় পরজীবিত্ব।
৬. র‌্যাবডিটিফর্ম লার্ভা কী?
উত্তর: গোলক্রিমির প্রাথমিক লার্ভা পর্যায়কে বলা হয় র‌্যাবডিটিফর্ম লার্ভা।
৭. প্যারোটিড গ্রন্থির কাজ কী?
উত্তর: বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ
৮. জাইগোট কী? উত্তর: নিষিক্ত ডিম্বানু।
৯. ন্যুপসিয়াল প্যাড কখন সৃষ্টি হয়?
উত্তর: প্রজনন ঋতুতে
১০. ব্যাঙের চার পায়ে মোট কয়টি আঙুল থাকে?
উত্তর: ১৮টি।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: অ্যামিবয়েড চলন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: চলনের সময় অ্যামিবা প্রয়োজনমতো দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে ক্ষণপদ সৃষ্টি করে এবং পুনরায় দেহের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। ক্ষণপদ সৃষ্টি করে অ্যামিবার এই বিশেষ ধরনের চলনকে অ্যামিবয়েড চলন বলে।
প্রশ্ন: পরজীবী বলতে কী বোঝো?
উত্তর: যেসব জীব অন্য জীবের ভেতরে বা বাইরে সব সময় বা সাময়িকভাবে অবস্থান করে এবং পুষ্টির জন্য সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আশ্রয়দাতা জীবের ওপর নির্ভর করে, তাকে পরজীবী বলে। যেমন গোলক্রিমি একটি পরজীবী।
প্রশ্ন: অন্তঃপরজীবী বলতে কী বোঝো?
উত্তর: যেসব পরজীবী পোষক দেহের অভ্যন্তরে অবস্থান করে এবং পুষ্টি ও অন্যান্য জৈবনিক ক্রিয়াকর্মের জন্য আশ্রয়দাতা জীবের ওপর নির্ভর করে, তাদের অন্তঃপরজীবী বলে। উদাহরণ: গোলক্রিমি, ম্যালেরিয়া জীবাণু ইত্যাদি।
প্রশ্ন: করোটিক স্নায়ু বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ব্যাঙের মস্তিষ্ক থেকে ১০ জোড়া স্নায়ু বের হয়ে দেহের প্রান্তীয় অঞ্চলগুলোয় যায়। এই স্নায়ুগুলোকে করোটিক স্নায়ু বলে। এগুলোর কোনোটি দেহের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে অনুভূতি বহন করে আনে আবার কোনোটি দেহের ভেতর থেকে নির্দেশ বা আজ্ঞা বহন করে সুনির্দিষ্ট অঙ্গে নিয়ে যায়। আবার কোনোটি আজ্ঞা ও অনুভূতি বহন—উভয় কাজই করে।
প্রশ্ন: রূপান্তর বলতে কী বোঝো?
উত্তর: এক অবস্থা থেকে পরিবর্তিত হয়ে অন্য অবস্থায় উপনীত হওয়াই হলো রূপান্তর। তাই বলা যায়, যে ধারাবাহিক পরিবর্তনের ফলে ভ্রূণ অবস্থা থেকে প্রাণী তার পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় পরিণত হয়, তাকে রূপান্তর বলা হয়। অন্যভাবে কোনো প্রাণীর শিশু অবস্থা থেকে আঙ্গিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পৌঁছানোর পদ্ধতিকে রূপান্তর বলে।

সহকারী অধ্যাপক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা

পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল