মেডিকেল রস

রক্তে মুক্ত টি থ্রি, টি ফোরের পরিমাণ দেখতে হলে ডাক্তাররা ফ্রি টি থ্রি, ফ্রি টি ফোর নামে দুইটা পরীক্ষা দেন। ডাক্তার খায়ের তাঁর এক গলগণ্ড রোগীকে দেখার পর এই পরীক্ষার নাম প্রেসক্রিপশনে লিখে রিসিপশনে পাঠালেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তিনি চেম্বার থেকে বেরিয়ে এলেন। তাঁকে দেখে তাঁর রোগীটির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল, ‘দেখুন তো ডাক্তার সাহেব, আপনি আমাকে পরীক্ষা দুইটাতে ফ্রি লিখে দিলেন। তার পরও এদের কত বড় সাহস! এরা আমার কাছে টাকা চাচ্ছে!’

মেডিকেল রস
মেডিকেল রস


ইদানীং আমাদের মেডিকেলে বাইসাইকেলের খুব চল। মেডিকেলের এক ছেলে কলেজের মূল প্রবেশপথে তার বাইসাইকেলটি রেখে ভেতরে ঢুকছিল।

মেডিকেল রস
মেডিকেল রস


হা হা করে ছুটে এল দারোয়ান, ‘আজ কলেজে কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি-সচিব লেভেলের লোক আসবেন, তাঁরা এই পথ দিয়েই যাবেন।’ ছেলেটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলল, ‘অসুবিধা নেই, তালা দিয়ে রাখব।’
মেডিকেলের ক্যানটিনে আড্ডা দিতে দিতে আমার আবিষ্কার: বাবা-মায়ের ইচ্ছায় মেডিকেলে পড়তে আসা আর নিজের ইচ্ছায় পড়তে আসা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা আমার কাছে খুব হাস্যকর।
ব্যাপারটা অনেকটা পানিতে ডুবে নাকি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা ভালো—এই আলোচনার মতোই শোনায়!

আমার চেনা এক চিকিৎসক সম্প্রতি তাঁর চেম্বারে রাখার জন্য একটা কঙ্কাল কিনলেন। তাঁর সহকারী সন্ধ্যার দিকে কঙ্কালটি গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তার গাড়িটি আটকাল।

মেডিকেল রস
মেডিকেল রস


: আপনি এই কঙ্কাল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
: ডাক্তারের চেম্বারে।

রসিক পুলিশটি তৎক্ষণাৎ বলে উঠল, ‘আপনার কি ধারণা, ডাক্তারকে ৫০০ টাকা দিলেই এই কঙ্কালটিকে বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন?’

: না, তা নয়, মানে উনি...

: এত কথার দরকার নেই, আমাকে ৫০০ টাকা দিন, চলে যান।

ওই লোকটি তাঁর বসকে ফোন করতে করতে মিন মিন করে বললেন, ‘আপনি কি ৫০০ টাকা পেলে কঙ্কালটিকে বাঁচিয়ে তুলবেন?’

গ্রাম থেকে এক লোক গভীর রাতে আমাকে ফোন করলেন, ‘ভাই, আমার ছেলেটার খুব জ্বর উঠেছে, এত রাতে গ্রামে ওষুধটষুধও নেই।’ আমি ঘুম-ঘুম গলায় বললাম, ভেজা কাপড় দিয়ে তার সারা গা কিছুক্ষণ পর পর মুছে দিন। আর সকালে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন, ‘ভাই, আপনার ভাবি তো গা মুছে দিতে চাচ্ছে না।’ আমি বললাম, তাঁকে বলুন, এতে উপকার হবে। তারও কিছুক্ষণ পর আবার ফোন এল, ‘ভাই, আপনার ভাবি তো কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছলে ছেলের নাকি ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হয়ে যাবে।’ প্রায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই বললাম, ভাবিকে বলুন, সমস্যা হবে না; আমি নিউমোনিয়ার চিকিৎসা জানি।

রস+আলো
রস+আলো