যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই কেন?

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন নাগরিকেরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ৮ নভেম্বর। কোথাও কোথাও লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়ার খবর এসেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের এক ভোটার জয়া শেলটন যেমন ব্যাকগামন খেলে পার করেছেন পুরোটা সময়। অনেকে বন্ধুরা মিলে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন আড্ডায় আড্ডায় সময়টা পার করতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত একটি দেশে কেন এখনো ঘরে বসে অনলাইনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না দেশটির নাগরিকেরা?
এস্তোনিয়া, চিলি ও উগান্ডাতে অনলাইনে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইন ভোটিংয়ের পরীক্ষা করেছে সুইজারল্যান্ড। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো অনলাইন ভোটিং চালু না করার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জোনাথন জিথ্রেইনের মতে, এ পদ্ধতিতে জনগণ কাকে ভোট দিচ্ছেন তা খুব সহজে প্রমাণ হয়ে যাবে। ছোট ছোট দেশের জন্য এ পদ্ধতি উপযোগী হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশের জন্য এখনো সময় আসেনি। এ ছাড়া অনলাইনে ভোট দেওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তা। হ্যাকারদের নজরে যে পড়বে না, তা কিন্তু না। অনলাইন ব্যবস্থায় হ্যাক হওয়ার বড় একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
তবে জিপ অ্যাপের স্বত্বাধিকারী রিক মিলিটি মনে করেন, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরের মাধ্যমে সহজ একটি নিবন্ধন বা আলাদা নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন ভোটিং চালু করা যেতে পারে। যাতে একটি নম্বরের মাধ্যমে শুধু একটি ভোট গণনা সম্ভব হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার শুরুর দিনগুলোতে হাত তুলে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হতো। ১১৬ বছর আগে শুরু হয় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি। বর্তমানে পরিবর্তন বলতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাকযোগে কিংবা ই-মেইলে ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা কখনো চালু হবে না, ব্যাপারটা তা না। তবে তার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে হবে।
মারিফুল হাসান, সূত্র: ইউএসএ টুডে