যে নাম পাচ্ছে পর্যায় সারণির নতুন চার মৌল

পর্যায় সারণিতে নতুন চারটি মৌলের নামকরণের সুপারিশ করেছেন গবেষকেরা। মৌল ১১৩, ১১৫, ১১৭ ও ১১৮ নতুন নাম পাচ্ছে। নামগুলো হচ্ছে নিহোনিয়াম, মস্কোভিয়াম, টেনেসি ও ওগানেসন।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে পর্যালোচনা করার পর নামকরণের পরিভাষা এবং পরিমাপ পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা-ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রির (আইইউপিএসি) গবেষকেরা এ মৌলগুলোর নাম ও প্রতীক সুপারিশ করেছেন।
বিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক জ্ঞানের বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন হিসেবে পর্যায় সারণিতে যুক্ত হয় নতুন এই চারটি মৌল। এগুলো যুক্ত হয় পর্যায় সারণির ৭ নম্বর সারিতে। এতে ওই সারি পূর্ণ হয়।
অদ্যাবধি আবিষ্কৃত মৌলগুলোকে তাদের ধর্মের ওপর ভিত্তি করে এবং সাদৃশ্যপূর্ণ ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করে যে একটি সারণি তৈরি করা হয়েছে, তাকে পর্যায় সারণি নামে অভিহিত করা হয়।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আইইউপিএসির গবেষকেরা এই মৌলগুলোকে সারণিতে রাখার পক্ষে মত দেন। তবে ওই সময় মৌলগুলোর এখনো কোনো স্বীকৃত নাম বা প্রতীক গৃহীত হয়নি। মৌলগুলো জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা তৈরি করেছেন।
নিহোনিয়াম নামটি গৃহীত হওয়ায় এশিয়ার গবেষকেদের উদ্ভাবন করা মৌল প্রথমবারের মতো সারণিতে স্থান পাচ্ছে।
জাপানের গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন ১১৩তম মৌলটি। একে বলা হচ্ছিল আনআনট্রিয়াম, যার প্রতীক ছিল ইউইউটি। তবে নতুন নামকরণে এই মৌলটিকে বলা হচ্ছে নিহোনিয়াম এবং প্রতীক হবে এনএইচ (Nh)। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেদের উদ্ভাবিত ১১৫, ১১৭ ও ১১৮তম মৌলের ক্ষেত্রের নাম রাখা হচ্ছে যথাক্রমে মস্কোভিয়াম, টেনেসি ও ওগানেসন। এদের প্রতীক হবে এমসি (Mc), টিএস (Ts) এবং ওজি (Og)।
নতুন এই মৌলগুলো মানুষের তৈরি। এই ভারী ধাতব মৌলগুলো তৈরিতে ২০০৪ সাল থেকে কাজ করছেন গবেষকেরা।
জাপানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিকেনের গবেষক রয়োজি নয়োরি বলেন, বিজ্ঞানীদের জন্য এই মৌল আবিষ্কার ও পর্যায় সারণিতে স্থান পাওয়ার ঘটনা অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার চেয়েও অধিক মূল্যবান। তথ্যসূত্র: এএফপি।