রানি এলিজাবেথের মুঠোফোন

রানি এলিজাবেথ মাঝেমধ্যে তাঁর আইপ্যাড থেকে টুইট করেন
রানি এলিজাবেথ মাঝেমধ্যে তাঁর আইপ্যাড থেকে টুইট করেন

নাতিনাতকুর মিলিয়ে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিশাল এক রাজপরিবার। এই ৯২ বছর বয়সেও রাজকাজ সেরে দিব্যি তিনি পরিবার সামলাচ্ছেন। নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন সবার। সামনাসামনি পেলে তো ভালোই, নইলে ফোনে। প্রশ্ন হলো, রানি কি মুঠোফোন ব্যবহার করেন নাকি আগের দিনের মতো শুধুই টেলিফোন? নাকি সঙ্গী হালের স্মার্টফোন? বার্তা পাঠাতে পারেন নাকি শুধুই কল? তিনি কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন?

 রানির গোপন স্মার্টফোন

নানা অনুষ্ঠানসহ যেকোনো ভোজসভার আগে পরিবার তো বটেই, অতিথিদের সঙ্গেও রানি যোগাযোগ করেন স্মার্টফোনে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রানি এলিজাবেথ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। আর সেটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা ভালোই রপ্ত করেছেন। এ ছাড়া প্রায় ৫০ বছর ধরে তাঁর মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন তিনি।

আরেক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি স্টার দাবি করেছে, হালকা-পাতলা গড়নের স্যামসাং স্মার্টফোন দেখা গিয়েছে রানির হাতে। স্মার্টফোনটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। এটি এনক্রিপটেড—হ্যাক করা অসম্ভব বলে দাবি করা হয়। বার্তা পাঠানো ও কল করার পাশাপাশি এটি দিয়ে তিনি বিবিসি নিউজ অ্যাপে প্রতিদিনের খবরে চোখ বুলিয়ে নেন। আবার পছন্দমাফিক অ্যাপ নামাতে পারেনও বলে জানানো হয়েছে।

মুঠোফোন ব্যবহার শুরু করেন ২০০১ সালে
মুঠোফোন ব্যবহার শুরু করেন ২০০১ সালে

 টুইট করেন আইপ্যাডে

স্মার্টফোনের পাশাপাশি রানির একটি আইপ্যাড এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারও রয়েছে। সে আইপ্যাড থেকে তিনি নিজে কালেভদ্রে টুইট করেন। রানির আইপ্যাড বলে সেটিও ‘রয়্যাল’ খেতাব পেয়েছে। ডেইলি এক্সপ্রেস দাবি করেছে, টুইটার ছাড়াও এলিজাবেথের একটি গোপন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে ফেসবুকে তাঁর কতজন বন্ধু রয়েছে, তা জানা যায়নি। বিষয়টি বেশ গোপনীয়।

রানির মুঠোফোন ব্যবহার পরিবার ও রাজপ্রাসাদের কর্মচারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জনগণের সামনে সচরাচর তাঁকে মুঠোফোন ব্যবহার করতে দেখা যায় না। তাঁর সহকারী অ্যাঞ্জেলা কেলি ফোনে চার্জ দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে দেখভাল করেন। রানি এলিজাবেথ স্মার্টফোনের ব্যবহার শিখেছেন দুই নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির কাছ থেকে।

প্রিন্স হ্যারি তঁাকে স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখান
প্রিন্স হ্যারি তঁাকে স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখান

মুখোমুখি যোগাযোগ বেশি আনন্দের

২০০১ সাল থেকে মুঠোফোন ব্যবহার করলেও রানি এলিজাবেথ সব সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা পছন্দ করেন না। রাজপ্রাসাদে কাজ করার সময় কর্মচারীদের সঙ্গে মুঠোফোন রাখায় নিষেধাজ্ঞা আছে। কারণ মুঠোফোনের শব্দ তাঁর কাছে বিরক্তিকর লাগে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও স্মার্টফোনের আগের সময়টা রানির পছন্দের। কারণ তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলেই মুহূর্তটি সেলফির মাধ্যমে ধারণ করতে চায়। আর তাঁকেও দাঁড়াতে হয় হাসিমুখে। এতে মনে মনে খানিকটা ক্ষুব্ধ হন। একবার অবশ্য সরাসরিই বলেছেন, জনগণের প্রতিটি পদক্ষেপে অসংখ্য মুঠোফোনের ব্যবহার তিনি পছন্দ করেন না। এর চেয়ে মুখোমুখি যোগাযোগটি বেশি আনন্দের। তবে স্মার্টফোনের এই যুগে সেটা কতটাই বা হয়ে থাকে।