স্বামী: হ্যালো! ওগো শুনছ, আমি গাড়ি চালিয়ে সুজানার বাসায় যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা ট্রাক টাল সামলাতে না পেরে আমার মুখোমুখি হয়ে গেল। আমি কোনোমতে ট্রাকটাকে পাশ কাটিয়ে গেলাম। কিন্তু একটা বিশাল গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটা থমকে গেল। আরেকটু হলেই ৫০ ফুট নিচের একটা খাদে পড়ে যেতাম। কোনোমতে উঠে এসেছি। পা আর হাতের হাড় ভেঙেছে। এখন আমি হাসপাতালে!
স্ত্রী: বলি সুজানাটা কে, হ্যাঁ?
একদিন ঘুম থেকে উঠে রতন তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ‘আজকের সকালটা সুন্দর।’
পরদিনও ঘুম থেকে উঠে রতন বললেন, ‘আজকের সকালটা সুন্দর।’
এর পরদিনও একই ঘটনা।
এভাবে এক সপ্তাহ পেরোনোর পর রতনের স্ত্রী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘প্রতিদিন এই কথা বলার মানে কী?’
রতন: সেদিন ঝগড়ার সময় তুমি বলেছিলে, কোনো এক সুন্দর সকালে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
মনিকা আর চামেলীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
মনিকা: গতকাল রাতটা কেমন কেটেছে বলো তো?
চামেলী: খুবই বাজে। আমার স্বামী অনেক রাতে অফিস থেকে ফিরেছে। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে গেছে। আর তোমার?
মনিকা: দারুণ! স্বামী অফিস থেকে ফেরার পর আমরা বাইরে খেতে গেছি। রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ হেঁটেছি। এমনকি বাড়ি ফিরে ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুজন মুখোমুখি বসে ছিলাম।
ঠিক সেই সময় কথা হচ্ছিল মনিকা আর চামেলীর স্বামীদের মধ্যে।
মনিকার স্বামী: গতকাল রাতটা কেমন কেটেছে বলো তো?
চামেলীর স্বামী: ভালো না। বাড়ি ফিরেছি আর ঘুমিয়েছি। তোমার?
মনিকার স্বামী: জঘন্য। বাড়ি ফিরে দেখি লোডশেডিং চলছে। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে খেতে গেলাম। দেখি খাবারের এত দাম, খাওয়া হলো না। রাস্তায় বিশাল জ্যাম, তাই হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হলো। তখনো লোডশেডিং চলছে। গরমে ঘুমও আসে না। বাধ্য হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুজন বোকার মতো বসে ছিলাম।
তিন ছেলেমেয়ের জন্য একটা মাত্র খেলনা কিনে বাড়ি ফিরলেন মকবুল। বললেন, ‘যে ঘরে একদম লক্ষ্মী হয়ে থাকে, তোমাদের আম্মুর সব কথা শোনে, একদম চিৎকার-চেঁচামেচি করে না, সে-ই খেলানাটা পাবে।’
ছোট মেয়েটা বলে উঠল, ‘বললেই হয়, খেলনাটা তুমি রাখতে চাও।’
অনেক দিন পর হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরেছে মৌ। ফ্রিজ খুলে সে দেখে, ফ্রিজের ভেতর ভীষণ সুশ্রী একটি মেয়ের ছবি রাখা।
মৌ ছুটে গেল মায়ের কাছে, ‘মা, ফ্রিজের ভেতর একটা সুন্দরী মেয়ের ছবি রাখা দেখলাম।’
মা: হুম্। এটাকে বলে ‘পিকচার ডায়েট’। যখনই আমি কোনো খাবার নেওয়ার জন্য ফ্রিজ খুলি, মেয়েটাকে দেখলেই আমার মনে হয়, আমাকেও ওর মতো সুন্দরী হতে হবে। তখন আর খাওয়া হয় না।
মৌ: বাহ্! দারুণ। তা উপকার পাচ্ছ?
মা: পাচ্ছি আবার পাচ্ছি না।
মৌ: কেমন?
মৌ: আমার ওজন কমেছে আট কেজি। কিন্তু বারবার ফ্রিজ খোলার কারণে তোর বাবার ওজন ১০ কেজি বেড়েছে!