স্মৃতি মুছে ফেলার কৌশল!

মানুষের মস্তিষ্ক
মানুষের মস্তিষ্ক

মানুষের মস্তিষ্ক থেকে দুঃসহ ও ভীতিকর স্মৃতিগুলো মুছে ফেলে কেবল সুখস্মৃতি সংরক্ষণের উপায় থাকলে কেমন হতো? মার্কিন গবেষকেরা সেই উপায় খুঁজছেন বহুদিন ধরেই। তাঁরা রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্প্রতি কিছুটা আশার ইঙ্গিত পেয়েছেন।
জীবনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি যদি মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাহলে সেই দুর্বিষহ মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) বলে। মাদকাসক্তি থেকেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের রোগীর আচরণগত সমস্যা দেখা যায়। স্মৃতি অপসারণ ও নতুন স্মৃতি তৈরির মতো কোনো রাসায়নিক বস্তু তৈরি করা সম্ভব হলে এ রোগের কবল থেকে মানুষ হয়তো মুক্তি পাবে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা একদল মাদকসেবীর স্মৃতিভ্রম ও নতুন স্মৃতির প্রভাব নিয়ে জরিপ চালান। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতি পাঁচজনের একজনই নিজ নিজ অতীত স্মৃতি সম্পর্কে দুর্বলতার পরিচয় দেন। এ ছাড়া তাঁদের স্মৃতিও যথেষ্ট বিশ্বস্ততার প্রমাণ দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি একটি ওষুধ (এসআর-৮৯৯৩) ইঁদুরের অপসারণ ও নতুন স্মৃতি তৈরিতে গত জুনে কার্যকারিতার প্রমাণ দেয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে ওষুধটির কার্যকারিতা যাচাই করা এখনো সম্ভব হয়নি। এদিকে, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা ইঁদুরের স্মৃতি অপসারণ ও নতুন স্মৃতি তৈরির আরেকটি সফল পরীক্ষা চালান গত জুলাইয়ে। এর আগে জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইঁদুরের মস্তিষ্কে স্মৃতি প্রতিস্থাপন করা হয়। গবেষকদের আশা, মানুষের মস্তিষ্কের উপযোগী রাসায়নিক পদার্থ বা ওষুধ তৈরির পদ্ধতিও শিগগিরই উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। ইনডিপেনডেন্ট।