হেল্পলাইন
এক নেটওয়ার্কের আইপি ঠিকানা
একটি নেটওয়ার্কে অনেক কম্পিউটার থাকলে সেই ওয়ার্কস্টেশনগুলো একেকটা হোস্ট হিসেবে কাজ করে। এক হোস্ট আরেক হোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ যোগাযোগের বিষয়টা বোঝা যায় আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা দিয়ে। পরিষ্কার করে বললে, আইপি ঠিকানা প্রথম অক্টেট দেখে এটা বোঝা যায়। যদি সেটি একই ক্লাসের হয় এবং তাদের নেটওয়ার্ক অংশ একই থাকে, তবে সেগুলো ইন্টারনেটে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হবে। যেমন, বাসায় একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের আইপি ঠিকানা 192.168.100.1 হলে, এটি ক্লাস সি প্রাইভেট আইপি এবং এর নেটওয়ার্ক অংশ প্রথম তিনটা অক্টেট অর্থাৎ 192.168.100 এবং হোস্ট অংশ 1। এখন বাসার অন্য একটি ল্যাপটপের আইপি যদি হয় 192.168.100.2 তাহলে এটাও একই ক্লাসের আইপি এবং নেটওয়ার্কের অংশ। কারণ, কম্পিউটার আর ল্যাপটপটি একই নেটওয়ার্কে রয়েছে। কেবল তখনই কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ পরস্পরকে পিং করে পাওয়া যাবে। এ অবস্থায় দুটি কম্পিউটারের বিভিন্ন জিনিস ভাগাভাগি করা যাবে। পিং একটি ইউটিলিটি টুলস, নেটওয়ার্ক পরীক্ষায় ব্যবহূত হয়। উদাহরণের কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপকে পিং করতে হলে কমান্ড প্রম্পটে গিয়ে লিখতে হবে ping 192.168.1.2। যদি রিপ্লাই আসে তবে বোঝা যাবে সংযোগ ঠিক আছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সাবনেট মাস্ক। এটা দিয়ে আসলে সিস্টেমকে বোঝানো হয় সাব-নেটওয়ার্কে কত অক্টেট নেটওয়ার্ক অংশ রয়েছে। নেটওয়ার্ক অংশে যতগুলো বিট থাকে সবগুলোই সাবনেট মাস্কে চালু (অন) থাকে। নেটওয়ার্কিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, আইপি অ্যাড্রেস ক্লাস এবং এর নেটওয়ার্ক অংশ। হোস্টগুলোকে এক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হলে সেগুলোতে একই নেটওয়ার্ক অংশ সম্পন্ন আইপি ঠিকানা এবং সাবনেট মাস্ক বসাতে হবে। যেমন ক্লাস সির ক্ষেত্রে আইপি ঠিকানা: 192.168.100.1 থেকে 192.168.100.254 পর্যন্ত এবং Subnet Mask: 255.255.255.0 বসাতে হবে। যদি নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ভিন্ন হয় সে ক্ষেত্রে পরস্পরকে সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই একটি রাউটার লাগবে। কোনো আইপি অ্যাড্রেসের হোস্ট অংশে সব শূন্য (০) অথবা ২৫৫ বসানো যাবে না। কারন, শূন্য হলো ওই নেটওয়ার্কের সাবনেট এবং ২৫৫ হলো ব্রডকাস্ট অ্যাড্রেস। —মঈন চৌধুরী, ঢাকা