৯ম শ্রেণীরপড়াশোনা

অধ্যায়-

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের ১ নম্বর অধ্যায় থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।

# নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

প্রশ্ন:

. ICBN-এর পূর্ণরূপ কী?

. কেন ছত্রাক খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না?

. চিত্রP ও চিত্রQ-এর উদ্ভিদ দুটির মধ্যে কী কী সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়?

. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে চিত্রPQ-এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: . ICBN-এর পূর্ণরূপ হলো: International Code of Botanical Nomenclature.

উত্তর: . ছত্রাক মৃতজীবী বা পরজীবী। এরা নিজের খাদ্য নিজেরা প্রস্তুত করতে পারে না। কারণ, খাদ্য উৎপাদনের জন্য উদ্ভিদের মতো এদের দেহে ক্লোরোফিল থাকে না। তাই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো, পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতিতেও ছত্রাক খাদ্য প্রস্তুতে অক্ষম। এরা খাদ্যের জন্য বিভিন্ন পচনশীল জৈব পদার্থ ও অন্যান্য জীবের ওপর নির্ভর করে।

উত্তর: . চিত্র-P Spirogyra নামক শৈবাল এবং চিত্র Q Agaricus নামক ছত্রাক। নিচে এদের মধ্যে সাদৃশ্যগুলো দেওয়া হলো:

১. এরা এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে।

২. কোষে কোষগহ্বর আছে।

৩. এদের কোনো পরিবহন টিস্যু নেই।

৪. এরা সুকেন্দ্রিক, অর্থাৎ কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে।

৫. এদের ফুল হয় না।

৬. এদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত নয়।

৭. এদের মানুষের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

৮. এরা স্পোর সৃষ্টির মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে থাকে।

উত্তর: . চিত্র P Spirogyra নামক শৈবাল এবং চিত্র Q Agaricusনামক ছত্রাক। Spirogyra প্রচুর ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ। এটি মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়। Spirogyra চাষের মাধ্যমে মাছ চাষের খরচ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে মানুষের খাদ্য হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করা যায়। ফলে খাদ্যসংকটের সমস্যা হ্রাস পেতে পারে। তা ছাড়া প্রাকৃতিক খাদ্যচক্রেও Spirogyra গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর চিত্র Q (Agaricus) ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। এতে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মাশরুম উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি হয় এবং উন্নত হোটেলগুলোয় পরিবেশিত হয়। মাশরুম চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জীবিকা অর্জন করছে। পরিকল্পিতভাবে মাশরুম চাষ করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব, যা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথকে সুগম করবে। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চিত্র P (Spirogyra)  ও চিত্র Q (Agaricus) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।