
অধ্যায়-২
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের ২ নম্বর অধ্যায় থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।
# নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রশ্ন: ক. তন্ত্র কাকে বলে?
প্রশ্ন: খ. সিন্যাপস বলতে কী বোঝায়?
প্রশ্ন: গ. চিত্রP ওQ গঠন বৈশিষ্ট্যে একটি অপরটি থেকে আলাদা—ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্ন: ঘ. চিত্রR দেখতেP-এর মতো হলেও কাজ করেQ-এর মতো— বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক. তন্ত্র: একাধিক অঙ্গ মিলিতভাবে যদি একই ধরনের শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করে, তবে অঙ্গগুলোকে একত্রে তন্ত্র বলে।
উত্তর: খ. পর পর দুটি নিউরনের প্রথমটির অ্যাক্সন এবং পরেরটির ডেনড্রাইটের মধ্যে একটি স্নায়ুসন্ধি গঠিত হয়। এ স্নায়ুসন্ধিকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপসের মধ্য দিয়েই একটি নিউরন থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা পরবর্তী নিউরনে প্রবাহিত হয়।
উত্তর: গ. চিত্র P হলো ঐচ্ছিক পেশি এবং Q অনৈচ্ছিক পেশি। নিচে উল্লিখিত গঠনবৈশিষ্ট্যের কারণে P ও Q পরস্পর থেকে আলাদা:
১. চিত্র P (ঐচ্ছিক পেশি)-এর পেশিগুলো প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। কিন্তু চিত্র Q (অনৈচ্ছিক পেশি)-এর পেশির সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী ঘটে না।
২. P-এর কোষগুলো নলাকার ও শাখাবিহীন। আর চিত্র Q-এর কোষগুলো মাকু আকৃতির।
৩. P-এর পেশিতে প্রতি কোষে একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে। কিন্তু Q-এর প্রতিটি কোষে একটি করে নিউক্লিয়াস থাকে।
৪. P টিস্যুর কোষগুলো আড়াআড়ি ডোরাযুক্ত। কিন্তু Q-এর গায়ে আড়াআড়ি কোনো দাগ থাকে না।
৫. P বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালন ও চলন নিয়ন্ত্রণ করে। পক্ষান্তরে Q দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গাঙ্গির সঞ্চালনে অংশ নেয়। যেমন: অন্ত্রের ক্রমসংকোচন।
উত্তর: ঘ. চিত্র R হলো হূৎপেশি। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের হূৎপিণ্ড যে বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে গঠিত, তাকে হূৎপেশি বলে। এ পেশি টিস্যুর কোষগুলো অনেকটা চিত্র P (ঐচ্ছিক পেশি)-এর মতো। যেমন: নলাকৃতি, শাখান্বিত ও আড়াআড়ি দাগযুক্ত। তবে চিত্র R (হূৎপেশি)-এর সঙ্গে চিত্র P (ঐচ্ছিক পেশি)-এর গঠনগত মিল থাকলেও কাজের দিক দিয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। অন্যদিকে চিত্র Q (অনৈচ্ছিক পেশি)-এর সঙ্গে চিত্র R (হূৎপেশি)-এর গঠনগত ভিন্নতা থাকলেও কাজের দিক দিয়ে অত্যন্ত মিল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনৈচ্ছিক পেশি প্রধানত প্রাণীদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গাঙ্গির সঞ্চালনে অংশ নেয়। যেমন: অন্ত্রের ক্রমসংকোচন। অপর দিকে হূৎপেশি ভ্রূণীয় দশার একটি বিশেষ পর্যায় থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একটি ছন্দময় গতিতে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে দেহের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ হূৎপেশির কাজ অনেকটা অনৈচ্ছিক পেশির মতো। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে চিত্র R (হূৎপেশি) দেখতে P (ঐচ্ছিক পেশি)-এর মতো হলেও কাজ করে Q (অনৈচ্ছিক পেশি)-এর মতো।