'বড়লোক হওয়া খুব যন্ত্রণার'

আলিবাবার উদ্যোক্তা জ্যাক মা
আলিবাবার উদ্যোক্তা জ্যাক মা

অনেকেই অর্থের পেছনে ছুটে বেড়ান, বড়লোক হতে চান। ভাবেন, অনেক টাকা হলেই বুঝি অনেক সুখ মেলে! কিন্তু এই বড়লোক হওয়ায় যন্ত্রণা আছে সেই সঙ্গে আছে চাপ। এই চাপের কথা স্বীকার করেছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা ও চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জ্যাক মা। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জ্যাক মার বর্তমান সম্পদের আর্থিক মূল্য প্রায় দুই হাজার ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এই বিশাল অর্থ-সম্পদের মালিক জ্যাক মা বলেছেন, বড়লোক হওয়া মানেই সব সুখ পাওয়া নয়। 
কীভাবে এত অর্থ সম্পদ আয় করলেন তিনি? আজ থেকে ১৫ বছর আগে নিজের ঘরে বসে ই-কমার্স সাইট আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। 
১১ নভেম্বর চীনের সিঙ্গেল ডে উদযাপন উপলক্ষে তার এই সাইট থেকে মাত্র একদিনেই প্রায় ৯৩০ কোটি ডলারের কেনাবেচা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মাসে আইপিও ছাড়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান আলিবাবা। এক সময়ে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে যে জ্যাক মা ঘণ্টায় মাত্র ২০ ডলার করে আয় করতেন এখন তিনি চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। 
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাংবাদিক জ্যাক মাকে সাক্ষাৎকারের সময় বলেন, ‘আপনি গত তিন মাসে যে পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন আমাজনের ক্ষেত্রে এর জন্য ২০ বছর লেগেছে।’ এর উত্তরে জ্যাক মা বলেন, ‘তা সত্যি।’ 

বড়লোক হওয়া প্রসঙ্গে জ্যাক মা বলেন, বড়লোক হওয়া সত্যিকারের যন্ত্রণা বটে। মাত্র একমাসে এত অর্থ আয় হওয়ায় আমি মোটেও খুশি নই বরং আমার কাছে অনেক বেশি চাপ মনে হচ্ছে।
কিন্তু কীভাবে সম্ভব হল তা? জ্যাক মা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি সব সময় চিন্তার ক্ষেত্রে এক দশক এগিয়ে থাকতে চাই।’
জ্যাক মা বলেন, ‘হয়তো আমি ভবিষ্যত নিয়ে অনেক ভাবি এবং অনেক বিষয় নিয়েই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। বিশাল অর্থ থাকার খারাপ দিক সম্পর্কে জ্যাক মা বলেন, মানুষ বলে, ‘জ্যাক বড়লোক হয়েছ, বেশ ভাল। আসলে আমার মনে হয়, বড়লোক হওয়া ভালো কিন্তু চীনের সবচেয়ে বড়লোক হওয়া নিশ্চয় নয়। এটা বিশাল যন্ত্রণার কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বনে যাওয়া মানে আমার চারপাশে যারা আসবে সবাই টাকার জন্য ঘুরঘুর করবে।’
তাহলে এত অর্থ দিয়ে কী করবেন তিনি? চীনের এই উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, ‘আমার এই অর্থ-সম্পদ কীভাবে ভালো কাজে লাগানো যায় তার উপায় খুঁজছি এবং একটি সংস্থা তৈরি করছি যেখান থেকে ব্যবসায়িক পদ্ধতিতে অর্থ খরচ করা সম্ভব হবে।’