'হুমায়ূন আহমেদকে জাদু দেখাতে ভালো লাগত'

জুয়েল আইচ
জুয়েল আইচ

মঞ্চে প্রথম জাদু দেখানো
১৯৭৪ সালের দিকে বরিশালের স্বরূপকাঠির একটা সিনেমা হলে আমি প্রথম জাদু দেখাই। ওটাই আমার প্রথম একক জাদু প্রদর্শনী ছিল।
জাদু দেখানোর সময় ভাবি
দর্শকদের কতভাবে আনন্দ দেওয়া যায়, সেই চিন্তাটা মাথায় থাকে।
যাঁদের জাদু দেখে মুগ্ধ হই
ডেভিড কপারফিল্ড ও পেন অ্যান্ড টেলার।
জাদু দিয়ে যা করতে চাইতাম (যদি সম্ভব হতো)
এ দেশের মানুষের আইন না মানার যে প্রবণতা রয়েছে, সেটা যদি পরিবর্তন করে আইনশৃঙ্খলা মানার মন-মানসিকতা তৈরি করা যেত, খুব উপকার হতো।
আমি জাদুশিল্পী কারণ...
আমি জাদু ভালোবাসি, এটাই মূল কারণ!
জাদু ছাড়া আর যে কাজে পারদর্শী
আমি বাঁশি বাজাতে পারি।
ভালো জাদুশিল্পী হতে হলে যে তিনটি গুণ জরুরি
জাদুর প্রতি সত্যিকার ভালোবাসা, পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ।
যাকে নিজের জাদু দেখাতে ইচ্ছে করে
একসময় হুমায়ূন আহমেদকে জাদু দেখাতে ভালো লাগত। এমনিতে মেয়ে ও শিশুদের জাদু দেখিয়ে আনন্দ পাই।
জীবনের সেরা জাদু প্রদর্শনী
১৯৮৬ সালে উত্তর কোরিয়ায় একটা অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলাম। তিনতলা হলে প্রায় ১০ হাজার দর্শক ছিল ওখানে। হলভর্তি দর্শকের মধ্যে নিজেকে দেখে মনে হয়েছিল, ওটাই আমার সেরা স্টেজ শো।
জাদু দিয়ে সেরা প্রাপ্তি
মানুষের ভালোবাসা।
নিজের সম্পর্কে একটি অজানা তথ্য
অভিনয় লুকানোর অভিনয় করতে পারি। এটাই জাদুর মূল কথা।
যার জন্য জীবন বাজি রাখতে পারি
দেশের জন্য জীবন বাজি রাখতে পারি।
বাঁশি বাজানোর প্রিয় মুহূর্ত
পিরোজপুরে আমার গ্রামে বাড়ির পাশে একটা বড় খাল ছিল। খালের ওপর একটা সেতু আছে। সেখানে পরিমল দাস নামের আমার এক বন্ধুকে নিয়ে রাতের বেলা প্রায়ই বাঁশি বাজাতাম। ওই মুহূর্তটাই আমার প্রিয় ছিল।
জাদু নিয়ে আমার প্রিয় উক্তি
জাদুশিল্পী হচ্ছেন জাদুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়কারী একজন অভিনেতা। উক্তিটা ফ্রান্সের জাদুশিল্পী রবার্ট হুডিনের।
যখন রেগে যাই
চুপচাপ থাকি।
মন খারাপ হলে
বই পড়ি অথবা বাঁশি বাজাই। বাঁশির এমন কিছু রাগ আছে, যার সুর আমাকে কাঁদতে সাহায্য করে।
যে তিনটি জিনিস সব সময় সঙ্গে রাখি
মানিব্যাগ, চশমা ও মুঠোফোন।
শিশুদের জন্য যা করতে চাই
তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে চাই।
সামনে যে কাজটি করব ভাবছি
আমার বেশ কয়েকটি বড় প্রদর্শনী আছে। সেগুলোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সাক্ষাৎকার: মো. রুবেল