'৪০৪-পাওয়া যায়নি'

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কমবেশি সবাই ‘HTTP 404 Not Found বা 404 error’ বার্তাটির সঙ্গে পরিচিত। ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা ওয়েবপেইজ খুঁজে না পেলে এই বার্তাটি দেখায়। কিন্তু ৪০৪ সংখ্যাটিই কেন ব্যবহার করা হয়?

এইচটিটিপির পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘হাইপার-টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল’। ইন্টারনেটে থাকা কোনো তথ্য যখন নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাওয়া যায়। সেই তথ্য বা ফাইলটি হাইপারলিংক হিসেবে থাকে। কোনো কারণে যদি ওই তথ্য মুছে যায় বা স্থানান্তর করে ফেলা হয়, তখন ‘৪০৪-পাওয়া যায়নি’ বার্তাটি দেখা যায়।

১৯৮৯ সালে স্যার টিম বার্নাস লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) আবিষ্কার করার আগে ছোট পরিসরের কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলোর হাইপারলিংকে থাকা তথ্য হালনাগাদ করা সহজ ছিল। কিন্তু ওয়েবে সারা বিশ্বের সব তথ্য হালনাগাদ রাখাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ কোনো তথ্য মুছে ফেললে অথবা সরিয়ে নিলে তা খুঁজে পাওয়াটা প্রায় অসাধ্য হয়ে ওঠে।

৪০৪ সংখ্যাটি এল কীভাবে? ৪০৪-এর মতো প্রায় আরও ডজন খানেক সংখ্যা রয়েছে, যেগুলোকে এইচটিটিপি ‘প্রতিক্রিয়া সংখ্যা’ বলা হয়। হাইপারলিংকে ঢুকলে নেটওয়ার্কে তাদের প্রতিক্রিয়াকে বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়। এক থেকে পাঁচ (যেমন, ১০১, ৫২০) পর্যন্ত সংখ্যা দিয়ে শুরু বিভিন্ন ‘প্রতিক্রিয়া সংখ্যা’ রয়েছে। ১ দিয়ে শুরু হওয়া সংখ্যাগুলো হাইপারলিংকের তথ্য, ২ হাইপারলিংকের সফলতা, ৩ হাইপারলিংকের ফেরত যাওয়া, ৪ হাইপারলিংকের ত্রুটি এবং ৫ দিয়ে শুরু হওয়া সংখ্যাগুলো হাইপারলিংকের সার্ভারের ত্রুটি নির্দেশ করে। এর বাইরেও কিছু কম প্রচলিত প্রতিক্রিয়া সংখ্যাও রয়েছে।

শাওন খান, সূত্র: পপুলার মেশিনস