টুইটারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

এনিগমা যন্ত্রে প্রথম সাংকেতিক বার্তা তৈরি ও প্রেরণ।

টু্ইটারে এখন সাড়ে ৫৩ কোটি ব্যবহারকারীরয়টার্স

১৫ জুলাই ১৯২৮
এনিগমা যন্ত্রে প্রথম সাংকেতিক বার্তা
বহনযোগ্য টাইপরাইটারের মতো সরল দেখতে জার্মান এক যন্ত্র এনিগমা প্রথমবার কোনো সাংকেতিক বার্তা তৈরি ও প্রেরণ করে। গোপনীয় বার্তা আদান–প্রদান নিরাপদ করতে পেরেছিল এনিগমা। কোনো বার্তাকে গোপন সংকেতে রূপান্তর করে পাঠানো যেত এনিগমা যন্ত্র থেকে। টাইপ করা সেই বার্তা ল্যাম্পের আলোয় ধরলে সেটি পড়া যেত। এই বার্তা আবার আরেকটি এনিগমা যন্ত্রে টাইপ করলে যন্ত্রটি মূল বার্তার প্রিন্ট দিতে পারত। এ যন্ত্রে ঘূর্ণমান একগুচ্ছ চাকা এবং প্যাঁচানো কয়েক গুচ্ছ তার ব্যবহৃত হয় গোপন বার্তার নিরাপত্তা দিতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রণকৌশল ও অন্যান্য গোপন তথ্য পাঠাতে জার্মান সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে এনিগমা যন্ত্র ব্যবহার করেছে। তবে ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ব্রিটিশ কোডব্রেকারস দল এনিগমার সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

সাংকেতিক বার্তা তৈরি ও প্রেরণের এনিগমা যন্ত্র
কম্পিউটার হিস্ট্রি মিউজিয়াম

১৫ জুলাই ২০০৩
মজিলা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত
উন্মুক্ত প্রোগ্রামিং সংকেত (ওপেন সোর্স) প্রকল্পকে সহয়তা করতে এবং সম্মিলিতভাবে নেতৃত্ব দিতে অলাভজনক মার্কিন প্রতিষ্ঠান দ্য মজিলা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মজিলা ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এই ফাউন্ডেশন। মজিলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হলো নেটস্কেপ অধিভুক্ত মজিলা অর্গানাইজেশন। বর্তমানে মজিলা ফাউন্ডেশনের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মাউন্টেন ভিউয়ের সিলিকন ভ্যালি সিটিতে।

মজিলার জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ফায়ারফক্স
রয়টার্স

১৯৯৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তখনকার জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারের নির্মাতা নেটস্কেপ মজিলা অ্যাপ্লিকেশন স্যুট সমন্বয়ের জন্য মজিলা অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করে। নেটস্কেপের মূল প্রতিষ্ঠান আমেরিকা অনলাইন মজিলা অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আর জড়িত না থাকতে চাইলে ২০০৩ সালের ১৫ জুলাই মজিলা ফাউন্ডেশন শুরু করা হয়। মজিলা ফাউন্ডেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হলো মজিলা করপোরেশন, বেইজিং মজিলা অনলাইন লিমিটেড ও এমজেডএলএ টেকনোলজিস করপোরেশন।
মজিলার পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ব্রাউজার ফায়ারফক্স, ই–মেইল সেবা থান্ডারবার্ড, ওয়েব লে–আউট তৈরির সফটওয়্যার (ইঞ্জিন) গেককো, মজিলা ভিপিএন ইত্যাদি। মজিলা ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান মিচেল বেকার এবং নির্বাহী পরিচালক মার্ক সারম্যান।

রয়টাসর

১৫ জুলাই ২০০৬
টুইটারের যাত্রা শুরু
মাইক্রোব্লগ বা খুদে ব্লগ লেখার সাইট হিসেবে টুইটার এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। একই সঙ্গে আলোচিতও বটে। এই টুইটারের যাত্রা যখন শুরু হয়, তখন শব্দটির বানান ছিল Twttr। টুইটারে প্রকাশ করা যেকোনো বার্তা টুইট নামে পরিচিত। বর্তমানে টুইটার ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্স করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান।
২০০৬ সালের মার্চে জ্যাক ডর্সি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টোন ও ইভান উইলিয়ামস টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় একই বছরের ১৫ জুলাই। মুঠোফোনের খুদে বার্তা বা এসএমএস–ভিত্তিক একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গড়ে তোলা ছিল টুইটারের উদ্দেশ্য।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর ইলন মাস্ক ৪ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারে টুইটার অধিগ্রহণ করেন। অধিগ্রহণের পর ইলন মাস্কের নানা রকম সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়ে টুইটার। গত ২০ ডিসেম্বর ইলন মাস্ক টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ ছেড়ে দেন। গত ৫ জুন এনবিসি ইউনিভার্সেলের অ্যাড সেলস বিক্রির সাবেক প্রধান লিন্ডা ইয়াক্যারিনোকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দেন ইলন মাস্ক।
গত জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী টুইটারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি ৫০ লাখ। টুইটারের প্রোগ্রাম লেখা হয়েছে জাভা, রুবি, স্ক্যালা, জাভা স্ক্রিপ্ট ও পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষায়।

রয়টার্স

১৫ জুলাই ২০২০
হ্যাকারের হাতে টুইটারের বড় বড় অ্যাকাউন্ট এবং...
একজন হ্যাকার সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (কাউকে লক্ষ্য বানিয়ে তাঁর সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে বেআইনিভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করার কৌশল) ব্যবহার করে টুইটারকর্মীদের অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশ করেন। সেগুলো থেকে টুইটারের সব অ্যাকাউন্টে প্রবেশের সুযোগ পায় হ্যাকাররা। হ্যাকাররা ১৩০টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কথোকপথন চালায়। বিষয় ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি। ফলে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বেশ কিছু খ্যাতনাম টুইটার অ্যাকাউন্ট। সেগুলোর মধ্যে ছিল অ্যাপল, বিল গেটস, ইলন মাস্ক, জেফ বেজোসের অ্যাকাউন্টও।