৪৮ ঘণ্টার ডেটাথন প্রতিযোগিতা শুরু, বিজয়ী তিন দল পাবে ১০ লাখ টাকার পুরস্কার

ডেটাথন প্রতিযোগিতার একটি মুহূর্তপ্রথম আলো

তরুণ ডেটাবিজ্ঞানী ও ডেটা প্রকৌশলীদের নিয়ে রাজধানীতে চলছে ‘রবি ডেটাথন ৩.০’ শীর্ষক ডেটাথন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে সাড়ে তিন হাজার প্রতিযোগী অংশ নিলেও চূড়ান্ত আসরে ২৩টি দলের ৯৯ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত রবির প্রধান কার্যালয়ে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়, চলবে টানা ৪৮ ঘণ্টা। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল পাবে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার। প্রথম রানার আপ এবং দ্বিতীয় রানার আপ দল পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ ও ২ লাখ টাকার পুরস্কার।

প্রতিযোগিতা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিযোগীরা দলগতভাবে আলাদা টেবিলে ল্যাপটপ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছেন। কেউ আবার ল্যাপটপের বদলে গভীর মনোযোগে কাগজে-কলমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। চলছে সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা, খুনসুটিও। অংশ নেওয়া দলগুলোর সদস্যসংখ্যা দুই থেকে পাঁচজন। দলের সদস্যদের মধ্যে যেমন কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা রয়েছেন, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তরুণেরাও অংশ নিয়েছেন এ প্রতিযোগিতায়।

প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা বলছেন রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠী
প্রথম আলো

সকালে প্রতিযোগীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠী। সব টেবিলে গিয়ে প্রতিযোগীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্পর্কে তরুণদের মতামত ও ভাবনাও জানতে চান। এ সময় রাজীব শেঠি বলেন, ‘একঝাঁক সম্ভাবনাময় তরুণ আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তাঁরা বিশ্বমানের। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ডেটা যেকোনো ধরনের নতুন উদ্ভাবন এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। ডেটার কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের তরুণ ডেটা বিজ্ঞানীরা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করছে—এটা দেখতে পারা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।’

ডেটাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
প্রথম আলো

রবির তথ্য মতে, ডেটাথন মূলত ৪৮ ঘণ্টার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রতিযোগীরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিভিত্তিক সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করেন। মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতাও প্রমাণ করেন তারা, যা দেশ-বিদেশের ডেটাবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে অ্যামাজন ওয়েব সিরিজ, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ, এডিএ বাংলাদেশ, অ্যাকজেনটেক পিএলসি এবং ব্রেইন স্টেশন ২৩।