বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ৩৩৩ নম্বর থেকে তথ্য সহায়তা, কাল উদ্বোধন

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এটুআই এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের কর্মকর্তারাএটুআই

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর-সুবিধা সহজে পাওয়ার সুযোগ দিতে একসঙ্গে কাজ করবে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। এ জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক চুক্তি করেছে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ পরিচালনকারী সংস্থা এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব শরীফ আহম্মেদ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এটুআই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এককালীন আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তি কার্যক্রম সমন্বয় করবে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। এর ফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ৩৩৩ নম্বরে কল করে সহজে তাঁদের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আবেদনের পদ্ধতিও জানতে পারবেন তাঁরা। আগামীকাল (শনিবার) নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এ হেল্পলাইন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, কোনো ভোগান্তি ছাড়াই দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর–সুবিধা পাওয়ার সুযোগ করে দিতে একসঙ্গে কাজ করবে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মকর্তা অবসর সুবিধা বোর্ড। এতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সেবাপ্রাপ্তি আরও সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব শরীফ আহম্মেদ বলেন, এই চুক্তির ফলে গ্রাম থেকে শিক্ষক বা কর্মচারীদের ঢাকায় এসে অবসর-সুবিধার অবস্থা জানতে হবে না। জাতীয় হেল্পলাইনে ৩৩৩ নম্বরে কল করে বিনা মূল্যে নিজেদের আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন তাঁরা। এতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।