বাজারে এল অ্যাপলের আইপড

অ্যাপলের অধুনালুপ্ত ডিজিটাল গান শোনার জনপ্রিয় যন্ত্র আইপডের প্রথম সংস্করণ বাজারে আসে। ২০২২ সাল পর্যন্ত অ্যাপল আনুমানিক ৪৫ কোটি আইপড বিক্রি করেছে।

নানারকম আইপড (বাঁ থেকে) আইপড শাফল, আইপড ন্যানো, আইপড ক্ল্যাসিক ও আইপড টাচউইকিমিডিয়া

২৩ অক্টোবর ২০০১
বাজারে এল অ্যাপলের আইপড
অ্যাপলের অধুনালুপ্ত ডিজিটাল গান শোনার জনপ্রিয় যন্ত্র আইপডের প্রথম সংস্করণ বাজারে আসে। ইন্টারনেটে অ্যাপলের আইটিউনস মেকিন্টোশ সংস্করণ প্রকাশিত হওয়ার কয়েক মাস পরই আইপড বাজারে ছাড়া হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত অ্যাপল আনুমানিক ৪৫ কোটি আইপড বিক্রি করেছে। ২০২২ সালের ১০ মে অ্যাপল আইপড আর তৈরি করবে না বলে ঘোষণা দেয় অ্যাপল।
সংগীতপ্রেমীদের কাছে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আইপড। ডিজিটাল ফরম্যাটের গান শোনার অন্য যন্ত্রগুলোর মতো আইপডের কিছু মডেলে এক্সটারনাল ড্রাইভ ব্যবহার করা যেত। ম্যাকওএস ১০ দশমিক ১৫–এর আগপর্যন্ত অ্যাপলের আইটিউনস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আইপড দিয়ে গান, ফটো, ভিডিও, গেম, যোগাযোগের তথ্য, ই–মেইল সেটিং, ওয়েব বুকমার্ক ও ক্যালেন্ডারের কাজ করা যেত।

গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে ডিজিটাল ফরম্যাটের গান শোনার জন্য এমপিথ্রি প্লেয়ার বাজারে ছিল। অ্যাপল সেই ডিজিটাল মিউজিক বাজার খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। অ্যাপল দেখতে পায়, ফ্ল্যাশ মেমোরিভিত্তিক মিউজিক প্লেয়ারগুলোতে খুব কম গান রাখা যায়। আবার হার্ডড্রাইভভিত্তিক মডেলের যন্ত্রগুলো আকারে ঢাউস ও ভারী। এ দুই সমস্যার সমাধানে অ্যাপল নিজস্ব এমপিথ্রি প্লেয়ার তৈরির উদ্যোগ নেয়।

বিভিন্ন মডেলের আইপড
উইকিমিডিয়া

অ্যাপলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টিভ জবসের নির্দেশনায় জেনারেল ম্যাজিক ও ফিলিপসের সাবেক কর্মী টনি ফেডেলকে নিয়োগ দেন অ্যাপলের হার্ডওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান জন রুবিনস্টিন। এমপিথ্রি প্লেয়ার ও মিউজিক স্টোর ব্যবসার ভালো ধারণা ছিল টনির। সেভাবেই রুবিনস্টিন যন্ত্র তৈরি করে দেন। আইপড বাজারে আসার পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত আইপড শাফল, আইপড ন্যানো, আইপড ক্ল্যাসিক ও আইপড টাচ বাজারে ছিল। বিভিন্ন মডেলের আইপডের ধারণক্ষমতা ছিল ৫১২ মেগাবাইট থেকে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত।