বোতামের টেলিফোন আনল বেল টেলিফোন

প্রথমবারের মতো পুশ বাটন টেলিফোন আনল যুক্তরাষ্ট্রের বেল সিস্টেম। এর আগের টেলিফোনগুলো ছিল রোটারি ডায়ালের, অর্থাৎ নম্বর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফোন করত হতো।

পুশ বাটন টেলিফোনউইকিমিডিয়া

১৮ নভেম্বর ১৯৬৩
বোতামযুক্ত টেলিফোন আনল বেল সিস্টেম
প্রথমবারের মতো বোতামযুক্ত, অর্থাৎ বোতাম চেপে চেপে ফোন করার সুবিধাসহ পুশ বাটন টেলিফোন আনল যুক্তরাষ্ট্রের বেল সিস্টেম। এর আগের টেলিফোনগুলো ছিল রোটারি ডায়ালের, অর্থাৎ নম্বর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফোন করত হতো।
বোতাম চেপে ফোন করার যন্ত্র নিয়ে ১৯৪১ সালে প্রথম পরীক্ষা চালায় ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক। সেটা ছিল যান্ত্রিক পদ্ধতির। কিন্তু সেই যন্ত্র সফলতা পায়নি। প্রায় তিন বছর পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ১৯৬৩ সালের ১৮ নভেম্বর ট্রানজিস্টরনির্ভর পুশ বাটন টেলিফোনের ঘোষণা দেয় বেল সিস্টেম। বেল এতে ডুয়াল–টোন মাল্টিফ্রিকোয়েন্সি (ডিটিএমএফ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ১৯৭০–এর দশকের শুরুর দিকে ডিজিটাল পুশ বাটন টেলিফোন দেখা যায়। এতে ব্যবহার করা হয় মেটাল–অক্সাইড সেমিকন্ডাকটর (এমওএস) ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি)। এই টেলিফোনে স্পিড ডায়ালিংয়ের জন্য এমওএস মেমোরি চিপে ফোন নম্বর সংরক্ষণও করা যেত।

১৫ বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শুরু করেন বিল গেটস
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

১৮ নভেম্বর ১৯৭০
বিল গেটস প্রোগ্রামিং শুরু করেন
শীর্ষ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিল গেটস যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের লেকসাইড স্কুলে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। লেকসাইড স্কুলে প্রথম দিককার কয়েকটি কম্পিউটার ছিল। বিল গেটস ও তাঁর কয়েক বন্ধু সেসব কম্পিউটারে বেশির ভাগ সময় কাটাতেন। চেষ্টা করতেন কম্পিউটারগুলোর ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে। সেই সময়ে সিয়াটলে কম্পিউটার ছিল বেশ দামি যন্ত্র। তাই লেকসাইড প্রোগ্রামারস গ্রুপ গঠন করে বিনা মূল্য প্রোগ্রামিং চর্চার সুযোগ দেওয়া হয়। এ কাজে লেকসাইড স্কুলের পিডিপি–১০ কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বিল গেটস ও তাঁর দল মিলে তখন একটি মজুরি ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যার তৈরি করেছিল।

ইভিডি প্লেয়ার
উইকিমিডিয়া

১৮ নভেম্বর ২০০৩
চীন নিয়ে এল ডিভিডির বিকল্প ইভিডি
ডিভিডির বিকল্প হিসেবে এনহ্যান্সড ভার্সেটাইল ডিস্ক (ইভিডি) উদ্ভাবন করে চীন। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মিলে গড়ে ওঠা চীনের বেইজিং ই–ওয়ার্ল্ড কোম্পানি ইভিডি উদ্ভাবন করে। ডিভিডির জন্য অনেক বেশি র‌য়্যালটি দিতে হয় বলেই চীন এই উদ্যোগ নিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ২০০৮ সাল নাগাদ ডিভিডির স্থলাভিষিক্ত হবে ইভিডি। কিন্তু ইভিডি প্রযুক্তিগতভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। শেষমেশ ২০০৮ সালের পর ইভিডি ও ইভিডি চালানোর যন্ত্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।