আইফোন এয়ার ও অ্যাপল ওয়াচে পুনর্ব্যবহৃত পদার্থ বেশি ব্যবহার করেছে অ্যাপল

আইফোন এয়ারএএফপি

পরিবেশদূষণ কমাতে ও টেকসই প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে নতুন মডেলের আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচে পুনর্ব্যবহৃত পদার্থের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে অ্যাপল। গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ‘অ ড্রপিং’ অনুষ্ঠানে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা নতুন আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচ বাজারে আনার ঘোষণা দেন। অ্যাপলের তথ্যমতে, সবচেয়ে পাতলা আইফোন হিসেবে তৈরি ‘আইফোন এয়ার–এ ব্যবহৃত টাইটানিয়ামের ৮০ শতাংশই পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অন্য যেকোনো মডেলের তুলনায় বেশি পুনর্ব্যবহৃত টাইটানিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে মডেলটিতে। শুধু তা–ই নয়, আইফোন ১৭ সিরিজের বিভিন্ন মডেলে ৩০ শতাংশ পুনর্ব্যবহৃত পদার্থ ব্যবহার করা হলেও আইফোন এয়ারে ব্যবহার করা হয়েছে ৩৫ শতাংশ।

অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন এয়ার মডেলে থ্রিডি-প্রিন্টেড টাইটানিয়ামে তৈরি চিকন ইউএসবি সি পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় কেস তৈরিতে ৩৩ শতাংশ পদার্থ কম লেগেছে। শুধু তা–ই নয়, উৎপাদনে খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতিও হয়েছে কম।

নতুন মডেলের অ্যাপল ওয়াচেও পুনর্ব্যবহৃত উপকরণের পরিমাণ বেড়েছে। অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩, অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩ এবং সিরিজ ১১ মডেলে ব্যবহৃত সব পদার্থই ৪০ শতাংশই পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, ব্যাটারিতে থাকা কোবাল্টের শতভাগই পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টঘড়িগুলোর।

অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩ মডেলের কেসও শতভাগ পুনর্ব্যবহৃত টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপল জানিয়েছে, বিশেষ উদ্ভাবনী থ্রিডি প্রিন্টিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আগের মডেলের তুলনায় কেস তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের পরিমাণ অর্ধেক কমানো সম্ভব হয়েছে। অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩ মডেলের কেসও শতভাগ পুনর্ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে সিরিজ ১১ মডেলের কেসগুলোও তৈরি করা হয়েছে প্রায় শতভাগ পুনর্ব্যবহৃত টাইটানিয়াম বা অ্যালুমিনিয়ামের মাধ্যমে।

সূত্র: দ্য ভার্জ