স্মাইলির প্রবর্তক স্কট ফাহ্‌ম্যানের জন্ম

অনলাইনে আবেগ প্রকাশের জনপ্রিয় প্রতীক ইমোটিকন বা ইমোজির প্রবর্তক কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক স্কট এলিয়ট ফাহ্‌ম্যান জন্মগ্রহণ করেন।

স্মাইলির (ডানে) প্রবর্তক স্কট এলিয়ট ফাহ্‌ম্যানসংগৃহীত

২১ মার্চ ১৯৪৮
স্মাইলির প্রবর্তক স্কট ফাহ্‌ম্যানের জন্ম
অনলাইনে আবেগ প্রকাশের জনপ্রিয় প্রতীক ইমোটিকন বা ইমোজির প্রবর্তক কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক স্কট এলিয়ট ফাহ্‌ম্যান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ টেকনোলজিস ইনস্টিটিউট ও কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক। অনলাইনে লিখে লিখে কথোপকথনের ক্ষেত্রে ভাব প্রকাশের তুমুল জনপ্রিয় প্রতীকের (ইমোটিকন বা ইমোজি)  প্রবর্তন করেন ফাহ্‌ম্যান। তাঁকে স্মাইলের স্রস্টা বলা হয়।

সূর্যমুখী ফুলে তৈরি স্মাইলি
রয়টার্স

ফাহ্‌ম্যান ১৯৮২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কি-বোর্ড থেকে :-) চিহ্ন দিয়ে প্রথম স্মাইলি প্রতীক প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে :-(চিহ্ন দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। নানা রকম ভাব ও আবেগ প্রকাশের কি-বোর্ডনির্ভর চিহ্ন থেকে পরবর্তী সময়ে নানা রকম ত্রিমাত্রিক ইমোজি তৈরি হয়েছে।  

জ্যাক ডরসি
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

২১ মার্চ ২০০৬
প্রথম টুইট পাঠালেন জ্যাক ডরিস
টুইটারের (বর্তমান এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি প্রথম টুইটার বার্তা বা টুইট প্রেরণ করেন। পডকাস্টিং প্রতিষ্ঠান ওডিওর এক আড্ডা থেকে উঠে আসে টুইটারের ধারণা। প্রথম ভাবনা ছিল ছোট ছোট দলের মধ্যে খুদে বার্তা বা এসএমএসের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো। কীভাবে বার্তা পাঠানোর বিষয়টা কাজ করবে, সেটির প্রাথমিক নকশা করেন জ্যাক ডরসি, পরে এর সাংকেতিক নাম হয় ‘twttr (ট্যুট্‌র)’। ২০০৬ সালের ২১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রথম বার্তাটি পাঠান জ্যাক ডরসি। সেই বার্তা ছিল, ‘জাস্ট সেটিং আপ মাই ট্যুট্‌র’। একই বছরের জুলাই মাসে ইন্টারনেটে খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইট হিসেবে টুইটার সবার জন্য উন্মুক্ত হয়। ২০০৭ সালে সাউথওয়েস্ট ইন্টারঅ্যাকটিভ সম্মেলন—দ্য সাউথে ব্যাপক সফলতা পায় টুইটার। এরপর নিজেদের প্রতিষ্ঠান টুইটার ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।

ওয়েবে ছবি রাখার জনপ্রিয় সেবা ছিল ফ্লিকর
সংগৃহীত

২১ মার্চ ২০০৫
ফ্লিকর অধিগ্রহণ করে ইয়াহু  
ছবি রাখার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফ্লিকর অধিগ্রহণ করে তখনকার জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু। ব্লগ লেখার নতুন টুল চালুর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইয়াহু ফ্লিকর (Flickr) কিনে ফেলে। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারভিত্তিক ফ্লিকর ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল ফটো প্রকাশ, ছবির অ্যালবাম তৈরির সুবিধা দিত।