অফিসেই ঘুমাচ্ছেন ইলন মাস্ক, কেন
স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বেশ আলোচিত। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টার দায়িত্ব ছাড়ার পর নতুন রাজনৈতিক দলও গঠন করেছেন তিনি। এবার হঠাৎ করেই বাসায় না গিয়ে অফিসে ঘুমানো শুরু করেছেন ইলন মাস্ক। কাজ করছেন সপ্তাহে সাত দিনই। মাস্কের মতে, যখন পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন তিনি ‘যুদ্ধকালীন মোডে’ চলে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক জানান, ছোট সন্তানেরা যখন পাশে থাকে না, তখন সপ্তাহের সাত দিন কাজ করছি, অফিসেই ঘুমাচ্ছি। পোস্টের সঙ্গে তিনি একটি পুরোনো ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, টেসলার এক সংকটময় সময়ে মাস্ক কীভাবে দিন-রাত কাজ করতেন। ভিডিওতে মাস্ক বলেন, ‘এই পরিমাণে কাজ করা উচিত নয়। এটা ভালো কিছু নয়। এটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। আমার মাথা আর হৃদয় ব্যথায় ভরে ওঠে।’
বর্তমানে নিজের মালিকানাধীন একাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে বেশ চাপে পড়েছেন ইলন মাস্ক। এক্সের রূপান্তর প্রক্রিয়া, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রকল্প, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। এ কারণেই আবারও ‘পুরোদমে যুদ্ধে’ নামতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তবে মাস্কের এমন কঠোর রুটিন নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, টেসলার মডেল থ্রি গাড়ি উৎপাদনের সময় সংকট দেখা দিলে তিনি সপ্তাহে ১২০ ঘণ্টা কাজ করতেন এবং কারখানার মেঝেতেই ঘুমাতেন। তাঁর ভাষায়, ‘সেই সময়টা ছিল জীবন-মৃত্যুর লড়াই। প্রতি সপ্তাহে ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছিল। হাতে টাকাও প্রায় ফুরিয়ে এসেছিল।’
ইলন মাস্ক শুধু নিজেই কঠোর পরিশ্রম করেন এমন নয়, কর্মীদের কাছ থেকেও একই রকম পরিশ্রম প্রত্যাশা করেন। ২০২২ সালে টুইটার অধিগ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের পাঠানো এক ই–মেইলে তিনি জানিয়েছিলেন, যাঁরা দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারবেন না, তাঁরা চলে যেতে পারেন। কর্মীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ছাঁটাই প্যাকেজ। এরপর টুইটারের সান ফ্রান্সিসকো কার্যালয়ের কিছু কক্ষকে কর্মীদের শোয়ার ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে