প্রথম রঙিন টিভি অনুষ্ঠান দেখায় এনবিসি

‘কোলগেট কমেডি আওয়ার’ টিভি অনুষ্ঠানের প্রথম একটি রঙিন পর্ব সম্প্রচার করে এনবিসি।

‘কোলগেট কমেডি আওয়ার’—টিভির প্রথম রঙিন অনুষ্ঠানসংগৃহীত

২২ নভেম্বর ১৯৫৩
প্রথম রঙিন টিভি অনুষ্ঠান দেখায় এনবিসি
‘কোলগেট কমেডি আওয়ার’ নামের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানের একটি পর্ব প্রচারিত হয় ১৯৫৩ সালের ২২ নভেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টিভিতে ডোনাল্ড ও’কনরের উপস্থাপনায় এই পর্ব প্রথম রঙিন টেলিভিশন অনুষ্ঠান হিসেবে সম্প্রচারিত হয়। এনটিএসসি রঙে এটি প্রচার করা হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনে রঙিন অনুষ্ঠান দেখাতে এনটিএসসি ব্যবহার করা হতো।

এনবিসিতে কমেডি আওয়ার প্রচারিত হয় ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত
উইকিমিডিয়া

১৯৫৩–৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আরও রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়, সবই এনবিসি থেকে। ‘কোলগেট কমেডি আওয়ার’ বেশ জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এটি সম্প্রচারিত হয়। ৬টি সিজনে ২২১ পর্ব চলে এই অনুষ্ঠানের। প্রতি পর্বের দৈর্ঘ্য ছিল ৫০ মিনিট।

শিকাগোর টেলিভিশনে হঠাৎই আবির্ভূত হয়েছিল ম্যাক্স হেডরুমের মুখোশ পরা এক হ্যাকার
উইকিমিডিয়া

২২ নভেম্বর ১৯৮৭
মুখোশধারী হ্যাকারের কবলে টেলিভিশন সম্প্রচার
১৯৮৭ সালের ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর অনেকেই ডব্লিউটিটিডব্লিউ–টিভিতে ‘ডক্টর হু’ সিরিজ দেখছিলেন। হঠাৎ তাঁরা অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। ৯০ সেকেন্ডের জন্য টেলিভিশন সংকেত বেদখল হয়ে গিয়েছিল। ডক্টর হুয়ের দৃশ্যের বদলে শিকাগোর টেলিভিশনে তখন দেখা যাচ্ছিল অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী এক হ্যাকারের ছবি। জনপ্রিয় এক টিভি অনুষ্ঠানের চরিত্র ম্যাক্স হেডরুমের মুখোশ পরে ছিল সেই হ্যাকার। শিকাগোর দুটি টেলিভিশন কেন্দ্রের সম্প্রচার এই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়।

২২ নভেম্বর ১৯৯৫
পুরোপুরি কম্পিউটারে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘টয় স্টোরি’
অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র টয় স্টোরি মুক্তি পায়। পুরোপুরি কম্পিউটারে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র এটি। টয় স্টোরি তৈরি করে পিক্সার অ্যানিমেশন ও প্রযোজনা করে ওয়াল্ট ডিজনি পিকচারস। পিক্সারের প্রথম চলচ্চিত্র এটি। যখন আশপাশে মানুষ থাকে না, তখন পুতুলগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে। এভাবেই গড়ে ওঠে টয় স্টোরির কাহিনি।
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ওয়াল্ট ডিজনির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র টিন টয়–এর সাফল্যের পর পিক্সার ডিজনিকে কম্পিউটার–অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনার কথা বলে। এরপরই কম্পিউটারে তৈরি হয় টয় স্টোরি। ৮১ মিনিটের টয় স্টোরি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৩ কোটি মার্কিন ডলার। ছবিটি বক্স অফিস থেকে আয় করে ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার (২০২২ সাল পর্যন্ত আয় ৭৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার)।

এক্সবক্স ৩৬০
রয়টার্স

২২ নভেম্বর ২০০৫
বাজারে এল ‘এক্সবক্স ৩৬০’
দীর্ঘ ভাইরাল প্রচারণা চালানোর পর মাইক্রোসফটের ভিডিও গেম খেলার যন্ত্র (গেমিং কনসোল) ‘এক্সবক্স ৩৬০’ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে ছাড়া হয়। শুরুতে এ যন্ত্রের জন্য ১৮টি গেম প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয় ‘কল অব ডিউটি–২’। এক্সবক্স লাইভের একটি হালনাগাদ সংস্করণের মাধ্যমে অনলাইনে একাধিক গেমার ‘এক্সবক্স ৩৬০’ যন্ত্রে খেলতে পারতেন। এটি ছিল এই এক্সবক্সে বিক্রির প্রধান এক অনুষঙ্গ। সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত গেমিং কনসোলের একটি ‘এক্সবক্স ৩৬০’।

এক্সবক্স ৩৬০ ও এর কন্ট্রোলার
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

আট বছর পর মাইক্রোসফট এক্সবক্স ৩৬০–এর উত্তরসূরি হিসেবে বাজারে আনে ‘এক্সবক্স ওয়ান’। ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর এটি বাজারে ছাড়া হয়।