কৃষকের পণ্য বিক্রির জন্য নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়ায় ফারমার্স সেন্টার চালু

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ফসলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাকিব হোসাইনসংগৃহীত

কৃষিপ্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশি উদ্ভাবনী উদ্যোগ (স্টার্টআপ) ফসল ডটকম লিমিটেড ও সেফ যৌথভাবে কৃষকের পণ্য বিক্রির জন্য নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়া জেলায় তিনটি কেন্দ্র (ফারমার্স সেন্টার) চালু করেছে। চলতি সপ্তাহের শনি, রবি ও সোমবার প্রায় ৩০০–এর বেশি কৃষকের উপস্থিতিতে ফসল ফারমার্স সেন্টার চালু করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেফের প্রতিষ্ঠাতা আরিফা জেসমিন। ফসলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাকিব হোসাইন, সেফের সহপ্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ফসলের সহপ্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশিদসহ অনেকে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এই ফসল ফারমার্স সেন্টারগুলোর মাধ্যমে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে পারবেন। কৃষকের পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। প্রযুক্তির ব্যবহার ও সরাসরি ফসলের সাপ্লাই চেইন ব্যবহার করলে এই ক্ষতি ৪ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আরিফা জেসমিন কণিকা উল্লেখ করেন, ‘দেশে কৃষকের কৃষিযোগ্য জমি বাড়ছে না, বরং প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। তাই এসব জমিতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ফসলের সঙ্গে সেফ যুক্ত হয়ে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে চায়। ফসল সেন্টার থেকে কৃষকেরা সব রকম সুবিধা নিতে পারবেন।’

বগুড়ায় ফসল ফারমার্স সেন্টারের সামনে কৃষকেরা
সংগৃহীত

সেন্টারগুলোতে কৃষকেরা সরাসরি কৃষিপণ্য ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা কৃষি পরামর্শ নিতে পারবেন। কৃষিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারও করতে পারবেন।

সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০টি ফসল সেন্টার তৈরি করতে চাই। প্রতিটি কেন্দ্র প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই ফারমার্স সেন্টারগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ কৃষক ৪০টির বেশি জেলায় পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।