স্ক্র্যাচ অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেল খুদে প্রোগ্রামাররা

বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আয়োজক ও অতিথিরাসংগৃহীত

ছবি ও নকশাভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষা স্ক্র্যাচ, যা দিয়ে খুব সহজেই প্রোগ্রাম করার পদ্ধতি শেখা যায়। এর ফলে শিশুরা খেলার ছলে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে গেম, অ্যানিমেশন ভিডিও, কার্টুনসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। এই স্ক্র্যাচ ভাষার ওপর ভিত্তি করে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে (আইআইটি) আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশ স্ক্র্যাচ অলিম্পিয়াড’। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার ৯৬ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

‘শেখ রাসেল দিবস’ উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই স্ক্র্যাচ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, স্ক্র্যাচ বাংলাদেশ, মাকসুদুল আলম সায়েন্স ল্যাব (ম্যাসল্যাব) ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। অলিম্পিয়াডের পৃষ্ঠপোষক ছিল নিউটন গ্রুপ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্ক্র্যাচ অলিম্পিয়াড তিনটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উদয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য রোদোলীন, প্রথম রানারআপ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রিদওয়ান রাব্বানী ও দ্বিতীয় রানারআপ সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নুসাইব হাসান।

পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মতিঝিল মডেল স্কুলের আরশান আরস, প্রথম রানারআপ খুলনা জিলা স্কুলের অরিত্র সরকার ও দ্বিতীয় রানারআপ সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অরিখ আজলান আল রহমান।

সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে যথাক্রমে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের মো.আদিল আল আলিম, সানিডেইল স্কুলের আবরার জাহিন ও খুলনার সরকারি ইকবালনগর সেকেন্ডারি গার্লস স্কুলের স্মিতা সরকার। প্রতিটি বিভাগের বিজয়ীরা পেয়েছে সনদপত্র, বই, পদক ও ক্রেস্ট। এছাড়া তিন বিভাগের তিন চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে একটি করে ট্যাবলেট কম্পিউটার পেয়েছে।

আরও পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, শিশুদের যদি যৌক্তিক চিন্তার উপকারিতা আনন্দমুখর একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে ভবিষ্যতে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে উঠতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। প্রোগ্রামিং হোক সে রকমই এক আনন্দমুখর প্রক্রিয়া। তারই একটি আয়োজন আজকের এই অলিম্পিয়াড।

প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক তাউহিদা জাহান, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমলুক ছাবির আহমেদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্ক্র্যাচ অলিম্পিয়াডের ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা।