এখন পর্যন্ত কোনো নারী উদ্যোক্তা ব্যর্থ হননি—আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

সম্মলেনে এটুআইয়ের সাথী নেটওয়ার্কের উদ্যোক্তা ও অতিথিরা

সরকারের যখনই সুযোগ হয়েছে, তখনই প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। সরকার বিশ্বাস করে, নারীরা এগিয়ে এলেই দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত কোনো নারী উদ্যোক্তা ব্যর্থ হননি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) প্রকল্প আয়োজিত ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীর সমৃদ্ধি’ শীর্ষক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ কথা বলেন। এটুআইয়ের ‘সাথি’ নেটওয়ার্কের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৪ বছরে নারী উদ্যোক্তারা গ্রাম থেকে শহর-সব জায়গাতেই সফল হয়েছে। কারণ, সরকার নারীদের এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দেশের প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারে একজন পুরুষ উদ্যোক্তার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাকে যুক্ত করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সেন্টারগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ

বছরব্যাপী প্রান্তিক নারীদের আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনজন নারী উদ্যোক্তাকে ‘শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা সম্মাননা’ প্রদান করা হয় এই সম্মেলনে। তাঁরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায় দৌলতপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মোছা. মারুফা ইয়াসমিন, সুনামগঞ্জের আটগাঁও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের শেফালী খাতুন এবং কুমিল্লার আগানগর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মোসা. শামছুন্নাহার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও জেন্ডার অ্যাডভাইজার স্নিগ্ধা আলী, এটুআইয়ের নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরীসহ অনেকে।