কারওয়ান বাজারে দেশের প্রথম আইসিটি ইনকিউবেটর চালু

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (আইটিএস) খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে এবং রপ্তানিমুখী কাজের পরিবেশ দিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরকারের উদ্যোগে আইসিটি ইনকিউবেটর চালু হয়।

তৎকালীন বিএসআরএস ভবনে চালু হয় আইসিটি ইনকিউবেটরপ্রথম আলো, ৮ নভেম্বর ২০০২

১ নভেম্বর ২০০২
কারওয়ান বাজারে দেশের প্রথম আইসিটি ইনকিউবেটর চালু
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (আইটিএস) খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে এবং রপ্তানিমুখী কাজের পরিবেশ দিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরকারের তৎকালীন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিজ্ঞান এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ছিল ইনকিউবেটরের ব্যবস্থাপনায়। সহযোগী হিসেবে ছিল দেশের সফটওয়্যার ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

বর্তমানে বিডিবিএল ভবনে রয়েছে আইসিটি ইনকিউবেটর
প্রথম আলো

১২ কারওয়ান বাজার ঠিকানায় তৎকালীন বিএসআরএস (বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা) ভবনের তৃতীয় থেকে নবম তলা পর্যন্ত ও একাদশ তলার অংশবিশেষ নিয়ে প্রায় ৭০ হাজার জায়গাজুড়ে ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পঞ্চম তলায় রয়েছে বেসিসের কার্যালয়। বাংলাদেশে শিল্প ব্যাংক (বিএসবি) ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা (বিএসআরএস) একীভূত হয়ে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) প্রতিষ্ঠিত হলে বিএসআরএস ভবনের নাম বদলে গিয়ে হয় বিডিবিএল ভবন।
আইসিটি ইনকিউবেটরে সফটওয়্যার নির্মাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অফিসের জন্য জায়গা ভাড়া নিতে পারে। কেন্দ্রীয়ভাবে সার্বক্ষণিক উচ্চগতির ইন্টারনেট ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয় ইনকিউবেটরে। ২০১১ সাল থেকে আইসিটি ইনকিউবেটরের দায়িত্ব নেয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে এটিকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক–১ (এসটিপি) করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে এখনো এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিটি ইনকিউবেটর। ইনকিউবেটরের ব্যবস্থাপনা এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বেসিস।

অনলাইনে শুরু হয় ডিভি লটারির কার্যক্রম
প্রথম আলো, ৩১ অক্টোবর ২০০৩

১ নভেম্বর ২০০৩

প্রথমবারের মতো মার্কিন ভিসার ‘ডিভি লটারি’ অনলাইনে
প্রথবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ভিসা (ডিভি) ২০০৫ লটারির আবেদন ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। এর আগের বেশ কয়েক বছর মার্কিন অভিবাসন ভিসার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ থেকে ডাকযোগে কাগজে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে ডিভি লটারির জন্য আবেদন করা যেত। ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ইন্টারনেটে ডিভি লটারির আবেদন গ্রহণ করা হয়। ২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে (www.dvlottery.state.gov) এ আবেদন গ্রহণ করা হতো।
ডিভি লটারির কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় সেই সময়ে সারা দেশে ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, ওয়েবে নির্দিস্ট তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করার সেবা দিতে সারা দেশেই ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ গড়ে ওঠে। পরবর্তী কয়েক বছরও ডিভি লটারির এ কার্যক্রম চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যাপলের সিইও টিম কুক
রয়টার্স

১ নভেম্বর ১৯৬০
অ্যাপলের সিইও টিম কুকের জন্ম
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিমোথি ডোনাল্ড কুক (টিম কুক) যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের রবার্টসডেলে জন্মগ্রহণ করেন। এই মার্কিন ব্যবসায়ী ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন সিইও স্টিভ জবসের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি ছিলেন অ্যাপলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও)।
টিম কুক ১৯৯৮ সালের মার্চে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অ্যাপলে যোগ দেন। ২০১১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২০ সালে তিনি অ্যাপলের রাজস্ব আয় দ্বিগুণ করে তোলেন এবং অ্যাপলকে প্রথম ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের কোম্পানিতে রূপান্তর করেন।
অ্যাপলের পাশাপাশি নাইকি এবং ন্যাশনাল ফুটবল ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন টিম কুক। টিম কুক অবার্ন বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (এমবিএ) অর্জন করেন।

টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

১ নভেম্বর ২০০৫
সফটওয়্যার ত্রুটির কারণে বন্ধ টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন
সফটওয়্যারের উন্নয়নকাজ করার সময় একটি ত্রুটির কারণে জাপানের টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৫ সালের ১ নভেম্বর সকাল নয়টায় বিশ্বের অন্যতম বড় এই পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হওয়ার আগে আগে এই ত্রুটি দেখা যায়। ফলে সেদিন শেয়ার ও বন্ড কেনাবেচার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। ত্রুটি সারিয়ে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের ফ্লোর ট্রেডিং পুরোপুরি ইলেকট্রনিক করা হয়। তারপর ২০০১ সালের ১ নভেম্বর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।