ঢাকায় প্রধান কার্যালয় চালু করল ফ্লিট বাংলাদেশ

ফ্লিট বাংলাদেশের কার্যালয় উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ (ডান থেকে তৃতীয়)সংগৃহীত

২০১৭ সালে রাজশাহীতে মাত্র ১০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্লিট বাংলাদেশ’-এর যুক্তরাষ্ট্রে একটি ওয়্যারহাউস ও একটি সুপারশপ আছে। যা ফ্লিট ইউএসএ নামে পরিচিত। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রুপ অব কোম্পানিতে পরিণত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির নয়টি কার্যালয়ে বর্তমানে কাজ করেন প্রায় এক হাজার কর্মী। এবার রাজধানীর বনানীতে প্রধান কার্যালয় চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘ফ্লিট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা খায়রুল আলমের মতো ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা সারা দেশে তৈরি করতে হবে। খায়রুল আলম সরকারের কাছে কোনো টাকা বা অনুদান চান না, তিনি শুধু চান, তাঁর চলার পথে যেন কেউ বাধা তৈরি না করে। আমরা শুধু খায়রুল নন, দেশের সব ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তার পাশে আছি।’ খায়রুলের প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইভেট হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা দিতে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘ফ্লিট বাংলাদেশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের এই স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাজশাহীসহ ঢাকাতেও এখন কর্মসংস্থান করেছে তারা।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সব সময় উদ্যোক্তাদের পাশে থাকি। ফ্লিট বাংলাদেশের পাশেও থাকব। সারা দেশে কর্মসংস্থানের বিপ্লব ঘটাতে পারে ফ্লিট বাংলাদেশ।’

ফ্লিট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা খায়রুল আলম বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে কোনো অনুদান বা অর্থসহায়তা চাই না। আমরা চাই তরুণদের কাজের সুযোগ করে দিতে। এ কাজে যেন কেউ বাধা না দেয় এ জন্য সরকারকে পাশে চাই। ৬৪টি জেলায় ফ্লিট বাংলাদেশ কার্যক্রম চালাবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান, টেকগারলিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মো. মনির হোসেন ও চালডাল ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিয়া আশরাফ।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের পাশাপাশি খায়রুল আলম ফ্লিট রিয়েল এস্টেট নামের একটি প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। তৈরি করেছেন ‘ফ্লিট বাই’ নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও।