সিটি করপোরেশনগুলো জানে না ই-বর্জ্য কাকে বলে

ই-বর্জ্য দিবসের আলোচনায় বক্তৃতা করছেন মোস্তাফা জব্বার
ছবি: প্রথম আলো

‘আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটি সমস্যা ই-বর্জ্য (ইলেকট্রনিকস পণ্যের বর্জ্য)। কিন্তু সিটি করপোরেশনগুলো জানে না ই-বর্জ্য কাকে বলে। কীভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হয়, তা নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো ভাবনা নেই। সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে ই-বর্জ্য নিয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়েনি আমার।’ আজ শনিবার ‘বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস–২০২৩’ উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস–২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন ২০৪১ টাওয়ারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। সভায় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি ই-বর্জ্য তৈরি হয় টেলিভিশন থেকে, এরপর মুঠোফোন থেকে। দেশের প্রতিটি ঘরেই কম-বেশি ই-বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের একটি খাত তৈরি করতে হবে। শুধু সরকারের একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সরকার ও বেসরকারি খাত এগিয়ে এলেই ই-বর্জ্য পূর্ণ ব্যবহারের জন্য রূপান্তর করা সম্ভব।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে ব্যবহৃত ল্যাপটপ কম্পিউটার ও মুঠোফোন কেজি হিসেবে কিনে আনেন। এটি দেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমরা ই-বর্জ্যের ডাম্পিং স্টেশন (ভাগাড়) হতে চাই না। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি। এ জন্য আমাদের নীতিমালা করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর আইন করতে হবে।’

সভায় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ইনোভেশন ও রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সরকার আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমাদেরকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও কাজ করতে হবে।’

সভায় আরও আলোচনা করেন সার্ক এসআইয়ের নির্বাহী সদস্য শাফকাত হায়দার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের উপপরিচালক মোহম্মাদ সাঈদ আলী, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার, সাবেক সভাপতি শাহীদ-উল-মুনীর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ অনেকে। সভা সঞ্চালনা করেন বিআইজেএফের সভাপতি নাজনীন নাহার। এ আয়োজনে সহযোগিতা করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেআর রিসাইক্লিং সলিউশন লিমিটেড এবং এনএইচ এন্টারপ্রাইজ।