জাতিসংঘের ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেল এটুআই ও বিএনএনআরসি

পুরস্কার নিচ্ছেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও ই-গভর্ন্যান্স বিভাগের চিফ স্ট্র্যাটেজিক মো. ফরহাদ জাহিদ শেখ।সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি)। করোনা মহামারির সময় ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ চালুর জন্য ই-হেলথ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে এটুআই। অন্যদিকে কালচারাল ডাইভার্সিটি অ্যান্ড আইডেনটিটি, লিঙ্গুইস্টিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড লোকাল কনটেন্ট বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে বিএনএনআরসি।

গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তরে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও ই-গভর্ন্যান্স বিভাগের চিফ স্ট্র্যাটেজিক মো. ফরহাদ জাহিদ শেখ। বিএনএনআরসির পক্ষ থেকে কেউ ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম বজলুর রহমান।

এটুআইয়ের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১৩ জুন চালু হওয়া ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’-এর মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের দক্ষ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনা মূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসাবিষয়ক পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কল সেন্টারটির মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কল সেন্টারটির মাধ্যমে সাত লাখের বেশি রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।

বিএনএনআরসির পুরস্কার পাওয়া প্রকল্পটি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। শুধু তা–ই নয়, কমিউনিটি রেডিওতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংবাদ, মতামত তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করছে ও স্থানীয় সমস্যাগুলো তুলে ধরছে।