আইফোনের ভলিউম বাটন দিয়ে শব্দ বাড়ানো-কমানো ছাড়াও আরও যেসব কাজ করা যায়

আইফোনের ভলিউম বাটন দিয়ে বিভিন্ন কাজ করা যায়ছবি: রয়টার্স

আইফোনের ভলিউম বাটন দিয়ে আমরা সাধারণত শব্দ বাড়ানো–কমানোর কাজ করে থাকি। গান শোনা, ভিডিও দেখা বা কারও সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা ভলিউম বাটনের সাহায্য নিই। কিন্তু আইফোনের ভলিউম বাটন দিয়ে শব্দ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ, অ্যালার্ম নিয়ন্ত্রণ, ইমার্জেন্সি ফোনকলসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। আইফোনের ভলিউম বাটনের বিভিন্ন ব্যবহার দেখে নেওয়া যাক—

ছবি তোলা

আইফোনের ভলিউম বাটন দিয়ে ক্যামেরার শাটার বাটন স্পর্শ না করেই সরাসরি ছবি তোলা যায়। এ জন্য বাড়তি কোনো কষ্টও করতে হয় না। ক্যামেরা অ্যাপ চালু করে ভলিউম বাটন চাপলেই ছবি উঠে যাবে। এভাবে সামনের ক্যামেরা দিয়ে পোর্ট্রেট ও সাধারণ ছবি তোলার পাশাপাশি পেছনের ক্যামেরা দিয়ে প্যানোরামা ছবিও তোলা যায়।

ভিডিও ধারণ

ক্যামেরা অ্যাপে ভিডিও মোড নির্বাচন করা অবস্থায় ভলিউম বাটন চাপলেই ভিডিও ধারণ করা যায়। পুনরায় ভলিউম বাটন চেপে ভিডিও ধারণ বন্ধও করা যায়।

ফটো বার্স্ট সুবিধা ব্যবহার

আইফোনের ফটো বার্স্ট সুবিধা ব্যবহার করে চাইলেই খুব অল্প সময়ে একাধিক ছবি তোলা যায়। ভলিউম বাটন চেপে এ সুবিধা সহজে ব্যবহার করা যায়। তবে এ সুবিধা ব্যবহারের আগে সেটিংসে প্রবেশ করে ক্যামেরা অপশনে ‘ইউজ ভলিউম আপ ফর বার্স্ট’ নির্বাচন করতে হবে।

ডকুমেন্ট স্ক্যান

আইফোনের বিল্ট-ইন ডকুমেন্ট স্ক্যানার মূলত ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহার করে কাজ করে। আর তাই ডকুমেন্ট স্ক্যানার ব্যবহারের সময় শাটার বাটনের পরিবর্তে ভলিউম বাটন চেপেও স্ক্যান করা যায়।

অ্যালার্ম বন্ধ

অ্যালার্ম বন্ধ করতেও যেকোনো ভলিউম বাটন ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া আগে থেকে সেটিংসে ভলিউম বাটন দিয়ে অ্যালার্ম স্নুজের অপশন বাছাই করে রাখলে একইভাবে অ্যালার্ম স্নুজও করা সম্ভব।

ইমার্জেন্সি কল অপশন

সাইড লক ও ভলিউম বাটন একসঙ্গে চেপে ধরে খুব দ্রুত ইমার্জেন্সি কল সুবিধা চালু করা যায় আইফোনে। ফলে দ্রুত ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করার সুযোগ মিলে থাকে। ইনকামিং কলও নিঃশব্দ করা যায় ভলিউম বাটনের মাধ্যমে।

ফ্যাক্টরি রিসেট

ফোন ফ্রিজ হলে যদি কিছুতেই ঠিক না হয়, তখন ভলিউম বাটন চেপে ফ্যাক্টরি রিসেট করা যায়। এ জন্য প্রথমে ভলিউম আপ, তারপর ডাউন ও শেষে সাইড লক চেপে রেখে কালো পটভূমিতে অ্যাপলের লোগো প্রদর্শনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণ রিস্টার্টে শুধু সফটওয়্যার রিস্টার্ট হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে আইফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যায়। আর তাই ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে সব তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট