ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় ব্যক্তিরা ভিডিও সম্পাদনার জন্য কোন অ্যাপ ব্যবহার করেন

ইনস্টাগ্রামছবি: রয়টার্স

ইনস্টাগ্রামে রিলস বা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও এখন বেশ জনপ্রিয়। তাই নির্মাতারা রিলস পোস্ট করার জন্য বেশি ঝুঁকছেন। আবার অনেক ব্যবহারকারী নির্মাতা হিসেবে নতুন করে নাম লিখিয়েছেন। তবে একজন নির্মাতাকে ভিডিও করার পর তা সুন্দর করে অন্যের সামনে উপস্থাপনের জন্য নিখুঁতভাবে ভিডিও সম্পাদনা করতে হয়। এ জন্য একটি ভালো মানের ভিডিও সম্পাদনা অ্যাপ ব্যবহার করা জরুরি। ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় ব্যক্তিরা ভিডিও সম্পাদনার জন্য যে অ্যাপগুলো বেশি ব্যবহার করেন, তা জেনে নেওয়া যাক।

ইনস্টাগ্রাম রিলস এডিটর
ইনস্টাগ্রাম অ্যাপেই রিলস ভিডিও সম্পাদনা করা যায়। ফলে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের এ টুলটি ব্যবহার করে একটি রিলস ভিডিও সম্পাদনা করার সব প্রাথমিক কাজ করা সম্ভব। এমনকি ইনস্টাগ্রামের এই রিলস এডিটরে ফিল্টার ও ইফেক্টের জন্য লাইব্রেরিও রয়েছে। বিনা মূল্যে টুলটি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিনা মূল্যে ব্যবহার না করলে অন্য অ্যাপের মতো বিজ্ঞাপন দেখার বিড়ম্বনাও নেই।

ভিএন অ্যাপ
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই ভিএন অ্যাপটি ব্যবহার করে ভিডিও সম্পাদনা করা যায়। এতে অনেক কাস্টমাইজেশন টুল রয়েছে। ভিডিও থেকে কোনো উপাদান মুছে ফেলতে ও যোগ করতে এ অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

ইনশট
ইনশট অ্যাপটিতে প্রাথমিক ও পেশাদার—দুই ধরনের ভিডিও সম্পাদনা করা সম্ভব। ভিডিও ট্রিম করা, ভিডিওর গতি নিয়ন্ত্রণ, স্লাইড শো বানানো, বিভিন্ন রঙের ইফেক্ট ব্যবহার ছাড়াও সম্পাদনা-সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করা যায় এই অ্যাপে। অ্যাপটি বিনা মূল্যে এবং অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারের সুযোগ মিলে থাকে।

অ্যাডোবি প্রিমিয়ার রাশ
কম্পিউটারে ভিডিও সম্পাদনার জন্য অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো খুবই জনপ্রিয়। পেশাদার ভিডিও তৈরিতে সাধারণত এ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনেও অ্যাডোবি প্রিমিয়ার রাশ ব্যবহার করে স্বচ্ছন্দে দ্রুত ভিডিও সম্পাদনা করা সম্ভব। অ্যাপটি দিয়ে ভিডিওর গতি বাড়ানো বা কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিপ যুক্ত, গ্রাফিকসের কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন শব্দও যোগ করা যায়। অর্থের বিনিময়ে বা বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় অ্যাপটি। তবে বিনা মূল্যের সংস্করণে অ্যাপটির সব সুবিধা পাওয়া যায় না।

কাইনমাস্টার
কাইনমাস্টার অ্যাপে আগে থেকেই তৈরি করা বিভিন্ন টেমপ্লেট পাওয়া যায়। ফলে এগুলো ব্যবহার করে সহজে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক এবং ভ্লগের উপযোগী ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। ভিডিওর পটভূমি মুছে ফেলা, কণ্ঠ সম্পাদনা, ইফেক্ট যোগ করা, ভিডিও রিভার্স করার সুবিধাও পাওয়া যায় এ অ্যাপে। কাইন ক্লাউড ব্যবহার করে নিবন্ধিত গ্রাহকেরা ১০ গিগাবাইট পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করে, সেগুলো অন্য যন্ত্র থেকে সম্পাদনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। অ্যাপটি বিনা মূল্যে ও অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা যায়।
সূত্র: টেকলুসিভ ডট ইন