হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে ফিরে পাবেন যেভাবে

ছবি: হোয়াটসঅ্যাপরয়টার্স

ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে সেগুলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। সাধারণত স্প্যাম বার্তা পাঠানো, মেসেজ ফরওয়ার্ড করা, অনুমোদনহীন তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার এবং নীতিমালাবহির্ভূত কার্যক্রমের জন্য অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে অনেক সময় ভুলবশতও নিষেধাজ্ঞার শিকার হন কেউ কেউ। হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করা না হলে আপিলের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে তা ফিরে পাওয়ার কৌশল জেনে নেওয়া যাক।

অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে প্রথমেই জানতে হবে অ্যাকাউন্টটি হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে কি না। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে থেকে হেল্পস ট্যাবে ক্লিক করে টার্মস অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসি অপশনে ক্লিক করলেই হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। যদি মনে হয় যে অ্যাকাউন্টটি ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়েছে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে আপিল করতে হরে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে প্রবেশ করে নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত বার্তাটি দেখতে হবে। এরপর ‘রিকোয়েস্ট আ রিভিউ’ অপশন নির্বাচন করলেই মোবাইল নম্বরে ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এরপর নম্বরটি কাজে লাগিয়ে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন নিষেধাজ্ঞাটি অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের পর যদি আপিলের সুযোগ না থাকে, তাহলে ই-মেইলের মাধ্যমেও আপিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে এই ঠিকানায় (support@whatsapp.com) ই-মেইল পাঠিয়ে ফোন নম্বর (দেশের কোডসহ) উল্লেখ করতে হবে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইতে হবে। সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন মনে হচ্ছে অ্যাকাউন্টটি ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়েছে। ব্যবহারকারীর আবেদন পর্যালোচনার পর হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দেবে নিষেধাজ্ঞাটি প্রত্যাহার করা হবে কি না।

আরও পড়ুন