কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত কি না জানার ১০ কৌশল

কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ থেকে সতর্ক থাকতে হবে
ছবি: প্রথম আলো

ভাইরাস একধরনের ক্ষতিকর কম্পিউটার প্রোগ্রাম। এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠিয়ে থাকে। এমনকি কম্পিউটারকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো সুযোগও তৈরি করে দেয়। অনলাইন থেকে ছবি, ভিডিও, সফটওয়্যার নামানোর পাশাপাশি পেনড্রাইভ বা ই-মেইলে থাকা ফাইলের মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই নিরাপদ থাকতে অনেকে কম্পিউটারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। কিন্তু সব অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নতুন ঘরানার ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে। কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত কি না, তা জানার ১০টি কৌশল দেখে নেওয়া যাক—

কম্পিউটারের ধীরগতি
একটি কম্পিউটার বিভিন্ন কারণে ধীরগতিতে কাজ করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণেও অনেক সময় কম্পিউটারের কাজের গতি কমে যায়। তবে হালনাগাদ যন্ত্রাংশ এবং অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরও যদি সফটওয়্যার চালু করতে বেশি সময় নেয়, তবে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।

অস্বাভাবিক কাজ
ভাইরাস আক্রান্ত হলে বিভিন্ন কাজ করার সময় কম্পিউটার অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ ক্ষেত্রে  কাজ করার সময় হঠাৎ করে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক বা একাধিকবার রিস্টার্ট হয়ে থাকে। এমনকি বিভিন্ন সফটওয়্যার চালু থাকা অবস্থায় সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

অপ্রাসঙ্গিক পপআপ ও বিজ্ঞাপন
ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় নিজ থেকে বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোড হতে থাকলে বা কাজের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক পপআপ এবং বিজ্ঞাপন দেখা গেলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।

ফোল্ডার থেকে ফাইল মুছে যাওয়া
হঠাৎ করে ফোল্ডারে থাকা কোনো ফাইল বা ছবি মুছে গেলে সতর্ক হতে হবে। কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল মুছে যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। আর তাই একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।

সিস্টেম ক্র্যাশ এবং ত্রুটিপূর্ণ বার্তা
কম্পিউটারের সিস্টেম ফাইল ক্র্যাশ করলে বা খুঁজে না পাওয়ার বার্তা একাধিকবার দেখা গেলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে। কারণ, ভাইরাসের কারণে কম্পিউটারের সাধারণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় ঘন ঘন সিস্টেম ক্র্যাশের ঘটনা ঘটে থাকে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার ইনস্টল
হঠাৎ করে কম্পিউটারে একটি নতুন সফটওয়্যার বা ব্রাউজারে নতুন ওয়েব টুলবার যুক্ত হলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে। এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রাউজারের ডিফল্ট অপশনগুলো পরিবর্তন হয়ে গেলেও সতর্ক থাকতে হবে।

ফোল্ডারের ভেতর নতুন ফোল্ডার
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোল্ডারের ভেতর নতুন ফোল্ডার তৈরি হয়। এসব ফোল্ডার মুছে ফেললেও আবার তৈরি হয়। এ রকম হলে সতর্ক থাকতে হবে।

সিপিইউর অস্বাভাবিক ব্যবহার
কম্পিউটারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সিপিইউ)। ভাইরাস সাধারণত কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ফাইল বা ছবি ব্যবহারকারীদের অজান্তে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে। আর তাই সাধারণ কাজ করার সময়ও স্বাভাবিকের তুলনায় সিপিইউ বেশি ব্যবহৃত হয়। ফলে আওয়াজ হতে থাকে। এমনটি ঘন ঘন হলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।

ইন্টারনেট ব্যবহার
কম্পিউটারে অন্য কাজ করার সময় যদি ইন্টারনেট ডেটা খরচ হতে থাকে, তবে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে। কারণ, কম্পিউটার থেকে সংগ্রহ করা তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠানো হয়ে থাকে।

অ্যান্টিভাইরাস অকার্যকর
কম্পিউটারে শক্তিশালী ভাইরাস প্রবেশ করলে পুরোনো সংস্করণের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। কারণ, কম্পিউটারে থাকা ভাইরাস অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণ ডাউনলোড করতে বাধা দেয়।