জিমেইলের জায়গা খালি করার ৫ কৌশল
জিমেইলের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ ই–মেইল প্রাপকের কাছে না পৌঁছে ফিরে আসে বা জিমেইলের বেশ কিছু সুবিধা ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না। ফলে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটে। জিমেইলে নির্ধারিত স্টোরেজের চেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে থাকে গুগল। তবে অর্থ খরচ না করে সহজেই এ সমস্যার সমাধান করা যায়। জিমেইলের স্টোরেজ খালি করার পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. ট্র্যাশ ও স্প্যাম খালি করা
মুছে ফেলা ই–মেইলগুলো সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় না। ট্র্যাশ ফোল্ডারে ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে এবং এই সময়েও জিমেইলের জায়গা পূর্ণ থাকে। স্প্যাম ফোল্ডারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। আর তাই নিয়মিত ট্র্যাশ ও স্প্যাম ফোল্ডারে থাকা ই–মেইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
২. বড় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই–মেইল মুছে ফেলা
ই–মেইলের অ্যাটাচমেন্ট সাধারণত সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে। আর তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই–মেইলগুলো মুছে ফেলতে হবে। জিমেইলের সার্চ বক্সে has:attachment larger:10M লিখলেই ১০ মেগাবাইটের বেশি আকারের ই–মেইলগুলো দেখা যাবে।
৩. নিউজলেটার ও প্রমোশনাল ই–মেইলের নিবন্ধন বাতিল
প্রমোশনস ট্যাবে জমে থাকা অফার, বিজ্ঞাপন ও নিউজলেটার দ্রুত জায়গা দখল করে রাখে। আর তাই একই ধরনের বার্তা বেশি এলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ই–মেইল সাবস্ক্রিপশন সুবিধা আন সাবস্ক্রাইব করতে হরে।
৪. গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার ব্যবহার
গুগল ওয়ানের স্টোরেজ ম্যানেজারে ই–মেইল, ড্রাইভ ও ফটোসের স্টোরেজ ব্যবহার এক জায়গায় দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করা অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো চিহ্নিত করে মুছে ফেলতে হবে।
৫. গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংক ব্যবহার
বড় ছবি বা ভিডিও সরাসরি ই–মেইলে পাঠানোর বদলে গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংক ব্যবহার করলে কম জায়গা দখল করে। আর তাই ছবি বা ভিডিওগুলো জিমেইলের বদলে ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংকের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতে হবে।