রিমোট এক্সেস স্ক্যাম থেকে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে
বিভিন্ন কৌশলে সাইবার হামলা চালিয়ে দূর থেকে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সাইবার অপরাধীরা। এ ধরনের সাইবার হামলার জন্য প্রথমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বোকা বানিয়ে যন্ত্রে ম্যালওয়ার প্রবেশ করায় তারা। এরপর ম্যালওয়ারের মাধ্যমে দূর থেকে যন্ত্রের দখল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির পাশাপাশি নানা ধরনের অপরাধ করতে থাকে সাইবার অপরাধীরা, যা রিমোট এক্সেস স্ক্যাম নামে পরিচিত। সম্প্রতি এ ধরনের সাইবার হামলার প্রবণতা বেড়ছে। রিমোট অ্যাক্সেস স্ক্যাম থেকে নিরাপদ থাকার কৌশল দেখে নেওয়া যাক।
ফিশিং হামলা থেকে সতর্ক
সাধারণত ই-মেইল ও বার্তা পাঠিয়ে মূলত ফিশিং হামলা চালানো হয়ে থাকে। সাইবার হামলা চালানোর জন্য ক্ষতিকর লিংকযুক্ত বিভিন্ন বার্তা ও ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। ফিশিং লিংক হিসেবে পরিচিত লিংকগুলোতে ক্লিক করলেই যন্ত্রে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর গোপনে যন্ত্রে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। আর তাই যেকোনো লিংক ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
বার্তা প্রেরকের পরিচয় যাচাই
ই–মেইল বা যেকোনো মাধ্যমে পাওয়া বার্তা বা লিংক প্রেরকের পরিচয় যাচাই করতে হবে। অবিশ্বস্ত উৎস থেকে ই–মেইল বা বার্তা আসলে সতর্ক থাকতে হবে এবং ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অ্যাপের তথ্য সংগ্রহের অনুমতি
স্মার্টফোনে বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। অ্যাপগুলো নামানোর সময়ই কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন, কল লগ, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে নেয়। তাই ফোনে থাকা কোন কোন অ্যাপ তথ্য সংগ্রহ করার অনুমতি নিয়েছে, তা জানতে হবে। শুধু তাই নয়, অপ্রয়োজনীয় কোনো অ্যাপ তথ্য সংগ্রহ করলে অ্যাপটির অনুমতি বাতিল করার পাশাপাশি প্রয়োজনে মুছে ফেলতে হবে।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
স্মার্টফোনে থাকা তথ্য নিরাপদ রাখতে ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোয় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা জরুরি। অন্তত ছয় অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। পাসওয়ার্ড যত বড় ও জটিল হবে, তত বেশি নিরাপদ থাকা যাবে। পাশাপাশি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তাসুবিধা ব্যবহার করতে হবে।
হালনাগাদ সফটওয়্যার ব্যবহার
নিজেদের তৈরি অপারেটিং সিস্টেম, অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যাপের ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে নিয়মিত সেগুলো হালনাগাদ করে থাকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। আর তাই ফোন নিরাপদ রাখতে অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যান্টিভাইরাসের পাশাপাশি এতে থাকা বিভিন্ন অ্যাপও নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া