অনার আলফায় ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির একঝলক
আলফা গ্রিক বর্ণমালার প্রথম শব্দ। চীনা শব্দ ‘আলফা’ মানে হলো মানুষের জয়গান করা, মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলা। তাই চীনের শেনজেন শহরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চালু হওয়া মুঠোফোন নির্মাতা অনারের ফ্ল্যাগশিপ দোকানটির নাম ‘অনার আলফা’। এমনটাই বললেন অনার আলফার কর্মী গলফ হুয়াং।
আলফা ফ্ল্যাগশিপ দোকানে যা প্রথমে দৃষ্টি কাড়ল, সেটা হলো ফ্লাইং ক্যামেরা ‘হবার’। আপনার চোখের সঙ্গে একবার চোখ মেলাবার পর ক্যামেরাটা আপনাকে অনুসরণ করবে। যেখানেই যাবেন, আপনাকে অনুসরণ করবে ক্যামেরা। আপনার হাঁটা বা দৌড়ানোর গতি যেমন হবে ক্যামেরা ওড়ার গতিও তেমন হবে। মাথার কত ওপরে ক্যামেরা থাকবে, তা আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। এ ক্যামেরার দাম ৬ হাজার ডলার।
আলফার দোতলায় ওঠার সিঁড়িটি মজার। আলোকিত সিঁড়ি যেন আকাশ ফুঁড়ে উঠে গেছে। পাশে ঝরনাধারা। অবশ্যই কৃত্রিম। প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই এমনটা করা হয়েছে। দোতলায় উঠলেই আপনাকে স্বাগত জানাবে এক রোবট। কুশল বিনিময়, করমর্দন তো করেই, এ রোবট গানও শোনাতে পারে অঙ্গভঙ্গি করে।
আলফা দোকানে অনারের সব পণ্যই আছে, যেগুলো দোকানে আসার আগেই দেখা হয়েছে শেনজেনে অনারের প্রধান কার্যালয়ের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে। এখানে ক্রিস্টিনা কাউ ও জ্যাক লিউ ঘুরে ঘুরে আমাদের বাংলাদেশি দলকে দেখালেন। এ দলে আছেন সাতজন সাংবাদিক ও ইউটিউবার। সঙ্গে বাংলাদেশে অনারের পণ্য ব্যবস্থাপক শুভঙ্কর গোলদার ও বিপণন ব্যবস্থাপক ফারুক রহমান। তাঁরা আমাদের দেখালেন অনারের পাওয়া প্রায় অর্ধশত পুরস্কার।
প্রথমেই নজর কাড়ল অনারের ভি পার্স স্মার্টফোনটি। একদম মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ যেন। ভাজযোগ্য স্মার্টফোন। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা সিলিকন-কার্বন ব্লেড ব্যাটারি (যা অনারের উদ্ভাবন) দিয়ে তৈরি স্মার্টফোন অনার ম্যাজিক ভি-৫। এটাও ভাঁজ করা যায়। সঙ্গে দেখা গেল ম্যাজিক ফ্লিপ-২ স্মর্ট ফোন। এটা ভাঁজ করলে একদম মেয়েদের মেকআপ বক্সের মতো ছোট হয়ে যায়। এট ফ্যাশন ব্র্যান্ড মিমি চোর সঙ্গে যৌথভাবে এনেছে অনার।
ইনমো গো-২ নামের স্মার্ট এক চশমা তৈরি করেছে অনার। এটি চোখে দিয়ে চীনা ভাষার ইংরেজি অনুবাদ দেখলাম চশমার কাচে। বিগো এআই লাইট দেখা গেল। এটা দিয়ে যেকোনো তলে (সারফেস) কম্পিউটারের কাজ করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পিয়ানো আর ভার্চ্যুয়াল ড্রামস সেটও আছে অনারের উদ্ভাবনী তালিকায়।
২০১৩ সালে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সাব-ব্র্যান্ড হিসেবে অনারের যাত্রা শুরু। ২০১৯ সাল থেকে পুরোই স্বায়ত্তশাসিত ব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করছে অনার।
একটা চেজ রোবটও আছে অনারে, যেটি তার রোবটিক হাত দিয়ে ঘুঁটি চালতে পারে। অপর দিকে খেলবে মানুষ। আর যা দেখা গেল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে, সেগুলো হলো এআই হেলথ রিং, ইয়ারবাডস ওপেন, অনার ওয়াচ ৫ আলট্রা, অনার ম্যাজিক ৭ সিরিজের স্মার্টফোন ও অনার ম্যাজিক ভি-৫ স্মার্টফোন।