মাইক্রোপ্রসেসরের উন্নয়ন নিয়ে ‘মুরের নীতি’ প্রকাশিত

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসিতে আরও উপাদান ঠেসে ভরানো যাবে বলে ভবিষদ্বাণী করেন গর্ডন মুর। পরে এটি মুরের নীতি বা মুরস ল নামে পরিচিতি পায়।

গর্ডন মুরউইকিমিডিয়া কমন্স/সায়েন্স হিস্ট্রি ইনস্টিটিউট

১৯ এপ্রিল ১৯৬৫

মাইক্রোপ্রসেসরের উন্নয়ন নিয়ে ‘মুরের নীতি’ প্রকাশিত

ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর ও ইনটেল করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসিতে আরও উপাদান ঠেসে ভরানো সম্ভব বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। পরে এই সূত্র ‘মুরের নীতি’ বা ‘মুরস ল’ নামে পরিচিতি পায়। মাইক্রোপ্রসেসর শিল্পও এই নীতি মেনে বিকশিত হতে থাকে। মুরের নীতির পর্যবেক্ষণ এমন যে প্রতি দুই বছরে আইসিতে ট্রানজিস্টরের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। মুরের নীতির এই পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যদ্বাণী পরে মাইক্রোপ্রসেসরের উন্নয়নে ঐতিহাসিক এক ধারায় পরিণত হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্রের চেয়ে প্রসেসর উৎপাদনের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে এটি বেশি সম্পর্কিত।

মুরের প্রথম ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছিল যে প্রতিবছর আইসিতে ট্রানজিস্টরের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। এক দশক পর ১৯৭৫ সালে মুরের নীতিতে বলা হয় যে প্রতি দুই বছরে আইসিতে ট্রানজিস্টরের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। সেমিকন্ডাক্টর ও প্রসেসরশিল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে মুরের নীতি অনুসরণ করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ২০১০ সালের পর থেকে সেমিকন্ডাক্টরের অগ্রগতি গর্ডন মুরের বলা ভবিষ্যদ্বাণীর চেয়ে কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুরের নীতিকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করেন গ্রাফিকস প্রসেসর নির্মাতা এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং। তবে ইনটেলের সিইও প্যাট গেলসিঙ্গারের দৃষ্টিভঙ্গি এই মতের পুরো বিপরীত।

ফরট্র্যান প্রোগ্রাম নিয়ে বই
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

১৯ এপ্রিল ১৯৫৭
প্রথম ফরট্র্যান পোগ্রাম চালু হলো
গবেষকেরা প্রথমবারের মতো চালালেন ফরট্র্যান। ফরমুলা ট্র্যানসলেটর—সংক্ষেপে ফরট্র্যান কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের (তখন তাঁদের কোডার বলা হতো) উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে সহজ করে প্রোগ্রাম লেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। প্রথম ফরট্র্যান প্রোগ্রাম (আইবিএমের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ বাদে) ওয়েস্টিং হাউসে হারিয়ে যাওয়া ‘কমা’ খুঁজে বের করার কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রথম চেষ্টায়ই সফলতা এসেছিল।

ইন্টেলিমাউস এক্সপ্লোরার ৩.০
উইকিমিডিয়া কমন্স

১৯ এপ্রিল ১৯৯৯
মাইক্রোসফট নিয়ে এল ইন্টেলিমাউস এক্সপ্লোরার মাউস
অপটিক্যাল কম্পিউটার মাউস ও ইন্টেলিআই প্রযুক্তির সমন্বয়ে ‘ইন্টেলিমাউস এক্সপ্লোরার’ নামের মাউস বাজারে আনে শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশন। এই মাউসকে কিছু উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। মাউস নির্মাতা হিসেবে মাইক্রোসফটই প্রথম অপটিক্যাল সেন্সরযুক্ত ইন্টেলিমাউসে স্ক্রল করার চাকা (স্ক্রল হুইল) এবং একপাশে অক্সিলারি বোতাম যোগ করে। মাইক্রোসফট এই মাউসের সঙ্গে ইন্টেলপয়েন্ট ড্রাইভার সফটওয়্যার ব্যবহার করে। দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোসফটের এই মাউসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল মাউস নির্মাতা লজিটেকের সঙ্গে।

মাইক্রাসফটের এই মাউসে ছিল নতুন অনেক কিছুই
উইকিমিডিয়া কমন্স

প্রথম ইন্টেলিমাউস বাজারে আসে ১৯৯৬ সালের ২২ জুলাই। সেটিতেই প্রথম স্ক্রলহুইল ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৩ সালে তৈরি মাইক্রোসফট মাউস ২.০ ভিত্তি করে ইন্টেলিমাউসের নকশা করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে পিসিওয়ার্ল্ড সাময়িকীর করা ‘৫০ বছরের সেরা ৫০ গ্যাজেট’ তালিকায় স্থান পায় ইন্টেলিমাউস এক্সপ্লোরার।