গাড়ি ও বাইকের জন্য 'ডাকো'

‘ডাকো’ অ্যাপ ব্যবহার করে গাড়ি ডেকেছেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। ডাকোর প্রথম যাত্রী তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
‘ডাকো’ অ্যাপ ব্যবহার করে গাড়ি ডেকেছেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। ডাকোর প্রথম যাত্রী তিনি। ছবি: সংগৃহীত।

গণপরিবহন হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গাড়ি ও মোটরসাইকেল (বাইক) ডাকার জন্য চালু হলো রাইড শেয়ারিং সেবা ‘ডাকো’। গুগল প্লেস্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। আজ ১৬ ডিসেম্বর সেবাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন ডাকোর উদ্যোক্তারা। ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলকে প্রথম যাত্রী হিসেবে চড়িয়ে এ সেবাটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

ডকোর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদউল্লাহ ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। হাতের স্মার্টফোন ব্যবহার করেই মানুষ মোটরসাইকেল ও গাড়ি ডেকে নিচ্ছেন। এতে সময় বাঁচছে, ঝামেলা কমছে। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ হিসেবে ডাকোতে রয়েছে বেশ কিছু দরকারি ফিচার। যাত্রীদের জন্য আগাম গাড়ি ঠিক করে রাখার ব্যবস্থা, অফিসে বসে যেকোনো জায়গায় বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের জন্য গাড়ি ও বাইক ঠিক করে দেওয়া, রিয়েল টাইম লকিং রাইড সিস্টেম, বিশেষ সময়ের জন্য নিরাপত্তা নম্বর ঠিক করে নেওয়া প্রভৃতি।

মোহাম্মদউল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, ডাকোর ভাড়া দুই ধরনের—আনুমানিক (এস্টিমেটেড) ও নির্দিষ্ট। আনুমানিক ভাড়া অ্যাপে দেখানো ভাড়া থেকে কম বা বেশি হতে পারে। অন্যদিকে ভাড়ার চিন্তা না করে যেতে চাইলে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে রাখা ভাড়ায় যাওয়া যাবে। ডাকোর ভাড়া মোটরসাইকেলের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৭ টাকা, ডাকো প্রাইমের ক্ষেত্রে ৯ টাকা আর গাড়ির ক্ষেত্রে ১৪ টাকা ও ডাকো প্রাইমের ক্ষেত্রে ১৭ টাকা।

গাড়ি ও মোটরসাইকেল মালিকদের জন্যে ২৪ ঘণ্টা ট্রিপ নিশ্চিত করতে রেডি টু রাইড নামের অপশন রয়েছে। তাঁরা এর মাধ্যমে পছন্দমতো পথে যেতে পারবেন। আয় বাড়াতে বোনাস–সুবিধা আছে। নিরাপত্তার জন্য গাড়ির অবস্থান, আয়, গাড়ির অবস্থা সরাসরি দেখার সুবিধা আছে। ডাকোর উদ্বোধন উপলক্ষে বিজয় দিবসের বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করা ৫০০ গাড়িকে ১৫ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেলকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ডাকোতে অ্যাকাউন্ট খুলতে কাগজপত্র ঠিক থাকতে হবে। চালকদের জন্য রয়েছে ডাকো ক্যাপ্টেন নামের অ্যাপস। যাত্রীদের জন্য ডাকো রাইড অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সংস্করণে পাওয়া যাবে।

লিখিত বিবৃতিতে ক্রিকেটার আশরাফুল বলেন, ‘বর্তমানে প্রযুক্তির যুগ। যোগাযোগব্যবস্থায় বাড়ছে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের ব্যবহার। ডাকোতে চড়ে ভালো লেগেছে। আমি প্রাইভেট কারে রিকোয়েস্ট দিয়ে এক মিনিটের মধ্যে গাড়িটি পেয়েছি। কিছুক্ষণ চড়ে অ্যাপটি দেখেছি। ফিউচার রাইড সিস্টেমটি ভালো লেগেছে। কয়েক ঘণ্টার জন্য রিয়েল টাইমেও গাড়ি নেওয়া যায় এখানে। খুব ভালো উদ্যোগ।’