রোবটটি হাঁটে, লাফায়, আবার সাঁতারও কাটে

জার্মান গবেষকেরা খুদে এক রোবট তৈরি করেছেন। রোবটটি হাঁটে, লাফায়, হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যায়। দরকার হলে সাঁতারও কাটে। আবার উভচরের মতো পানি থেকে ডাঙায় লাফিয়ে ওঠে।

রোবটটি তৈরির অনুপ্রেরণা এসেছে জেলি মাছ ও শুঁয়াপোকার মতো প্রাণী থেকে। আকারে এক ইঞ্চির সাত ভাগের একভাগ। মানুষের পরিপাকতন্ত্রে অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারবে। তবে নকশা এখনো চূড়ান্ত নয়। জানিয়েছেন মেটিন সিটি। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের ফিজিক্যাল ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রধান তিনি। এই গবেষক দলের নেতৃত্বে আছেন। বুধবারে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার

মানুষের শরীরে রোবটটির এখনো পরীক্ষা চালানো হয়নি। তবে চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্যই তৈরি করা হচ্ছে। যেমন শরীরের ভেতরে নির্দিষ্ট স্থানে ওষুধ পৌঁছে দিতে কাজে লাগতে পারে।

রোবটটি প্রাকৃতিক রাবারের তৈরি। ভেতরে অসংখ্য চুম্বকীয় উপাদানে ঠাসা। বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে প্রোগ্রাম করে চুম্বকীয় বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনতে হবে। এতে রাবারের আকার বদলে যেকোনো আকার ধারণ করবে রোবট। এভাবেই নড়াচড়া করে। দেখলে জীবন্ত মনে হয়। এটি ভবিষ্যতে রক্তনালির জটিল টিস্যুর মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর উপযোগী করে তোলা হবে। অর্থাৎ বর্তমান প্রযুক্তিতে শরীরে যে জায়গায় পৌঁছানো কঠিন কিংবা অসম্ভব, সেখানে রোবটটি কাজে লাগানো যাবে। সে জন্য প্রয়োজনে আকার আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে।

যদি শরীরের ভেতর হারিয়ে যায়? বর্তমান সংস্করণটি শরীরের ভেতরে পুরোপুরি দ্রবীভূত হয় না। তবে পুরোপুরি দ্রাব্য এক রোবট নিয়ে কাজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে রোবটটি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা বিষক্রিয়া ছাড়াই শরীরে দ্রবীভূত হয়ে যাবে।

মেহেদী হাসান

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস