যে স্মার্টফোনে নতুনত্ব আছে

কেলভিন ইয়াং
কেলভিন ইয়াং

প্রযুক্তি বিশ্বে কয়েক মাসে ধরে হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোন নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। মেট ২০ ও মেট ২০ প্রো—এ দুটি স্মার্টফোনকে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা এ বছরের সবচেয়ে উদ্ভাবনী স্মার্টফোন বলছেন। নতুন দুটি স্মার্টফোনকে স্মার্টফোন ও টেক বিশ্বের জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলা হচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে চীন ও হুয়াওয়ে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে। যদিও কয়েক বছর আগে হুয়াওয়ে নামটি পর্যন্ত সবাই ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারত না।

এক দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য স্মার্টফোন তৈরি করে চীন। কিন্তু এখন দেশটির নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের স্মার্টফোন তৈরি হচ্ছে। হুয়াওয়ের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন হিসেবে বাজারে আসা মেট ২০ ও মেট ২০ প্রো চীনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি। এ ফোনকে কেন উদ্ভাবনের দিক থেকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? হুয়াওয়ে বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার কেলভিন ইয়াং জানান, ফোনটিতে যে আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে, এগুলো ফোনটিকে উদ্ভাবনের দিক থেকে এগিয়ে রেখেছে।

গত ১৬ অক্টোবর লন্ডনে ও ২৬ অক্টোবর চীনের সাংহাইয়ের বেশ জমকালো অনুষ্ঠানে উন্মোচিত হয় মেট সিরিজের ফোন মেট ২০ প্রো। বৈশ্বিক বাজারে উন্মোচনের পর এবার বাংলাদেশের বাজার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেট ২০ প্রো স্মার্টফোনটি আনা হয়েছে। ফোনটি হুয়াওয়ের নিজস্ব প্রসেসর কিরিন ৯৮০ চিপসেটে তৈরি। অত্যাধুনিক ৭ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রসেসর তৈরি করা হয়েছে। মেট ২০ প্রো ফোনে থাকছে ৪ হাজার ২০০ এমএএইচ ব্যাটারি। আছে অত্যাধুনিক লাইকা ট্রিপল লেন্স ক্যামেরা, যার একটি ৪০ মেগাপিক্সেল, একটি ৮ মেগা পিক্সেলের টেলিফটো এবং অন্যটি ২০ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ক্যামেরা।

কেলভিন জানান, আনটুটুর বেঞ্চমার্ক রেটিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ফোনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ফোনটি। অ্যান্ড্রয়েড ৯ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনটিতে। ফোনটি দিয়ে মাত্র আড়াই সেন্টিমিটার দূরত্বেও¯স্বচ্ছ ছবি তোলা যাবে। দ্রুত চার্জের সুবিধা ছাড়াও তারবিহীন সুপার রিচার্জের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া রিভার্স রিচার্জিং সিস্টেমের মাধ্যমে চার্জ ফুরিয়ে গেলে আরেকটি মেট স্মার্টফোনের পাশে ধরেই রিচার্জ করা যাবে। এ স্মার্টফোনে অ্যাপ লক প্রযুক্তি দেখানো হয়েছে, যাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেসের সাহায্যে আনলক করা যায়।

হুয়াওয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাজার। জেএফকের যে ডেটা রয়েছে, সে হিসাবে আমরা বলতে পারি, হুয়াওয়ের অবস্থান বাংলাদেশের বাজারে ৩ নম্বরে। স্মার্টফোন ক্যাটাগরিতে ১৬ শতাংশ হুয়াওয়ের দখলে রয়েছে। নতুন স্মার্টফোন বাজারে এনে স্মার্টফোনের বাজার ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। মেট ২০ প্রো সে লক্ষ্যে আনা হয়েছে।’

১৮ নভেম্বর থেকে ফোনটির আগাম ফরমাশ শুরু হয়েছে। ফোনটির দাম ৮৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ফ্ল্যাগশিপ ফোন হিসেবে এ দামের ফোনের ক্রেতার সংখ্যাও বাংলাদেশে বাড়ছে।