নতুন আইফোনের উৎপাদন কমিয়েছে অ্যাপল

আইফোন এক্সআরের চাহিদা কম।
আইফোন এক্সআরের চাহিদা কম।

নতুন আইফোনের দাম একটু বেশিই। ক্রেতারা চাইলেও হয়তো কিনতে পারছেন না। তাই আইফোনের চাহিদা কিছুটা কম। অ্যাপলকে তাই নতুন আইফোনের উৎপাদন কমাতে হচ্ছে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে বাজারে আনা নতুন তিনটি মডেলের আইফোনের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন আইফোনের যে পরিমাণ চাহিদা হবে বলে অ্যাপল আশা করেছিল, তার সঙ্গে বর্তমান চাহিদা মিলছে না।

কয়েক সপ্তাহ আগে বিনিয়োগকারীদের কাছে অ্যাপলের নতুন আইফোন বিক্রি কম হওয়ার খবরটি বড় ধরনের ধাক্কা হয়েই এসেছে। ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকেরা নতুন আইফোনের চাহিদা সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, অ্যাপল তার চেয়েও কম ডিভাইস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে এসেছে। নতুন ফোনের চাহিদা কমে যাওয়ায় স্ক্রিন নির্মাতা জাপান ডিসপ্লে ইনকরপোরেশন তাদের পুরো বছরের পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছে।

এদিকে, ব্রিটিশ চিপ নির্মাতা আইকিউইউ তাদের কাঁচামাল সংগ্রহ কমিয়েছে। অ্যাপলের জন্য সফটওয়্যার নির্মাতা লুমেনটামও তাদের বার্ষিক পূর্বাভাস কম দেখিয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে গেছে। একই সঙ্গে অ্যাপলের যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দামও পড়ে গেছে।

অ্যাপলের তিনটি মডেলের নতুন আইফোনের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা কম আইফোন এক্সআরের। অ্যাপল এ মডেলের আইফোনের উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশ কমিয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে এ মডেলের আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপল। সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয় আইফোন এক্সএস ও আইফোন এক্সএস ম্যাক্স।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর কম দামি আইফোন হিসেবে এক্সআর মডেলটি বাজারে এনেছে অ্যাপল। ৭৪৯ মার্কিন ডলার দামের ফোনটি প্রত্যাশার চেয়ে তিন কোটি ইউনিট কম তৈরি করবে অ্যাপল। শুরুতে ১০ কোটি ইউনিট আইফোন এক্সআর বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু চাহিদা না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে সরে আসতে হয়েছে অ্যাপলকে।

এদিকে নতুন আইফোন বাজারে ছাড়ার পর একে টেক্কা দিতে চীনের হুয়াওয়ে বাজারে ছাড়ে হুয়াওয়ে মেট ২০ সিরিজের নতুন তিনটি মডেলে। ওই ফোনগুলো নতুন আইফোনের বিক্রি কমিয়েছে।

নতুন আইফোনের চাহিদা কমে যাওয়া সম্পর্কে অ্যাপল কোনো মন্তব্য করেনি।