জোর দিতে হবে মেসেঞ্জারে

ফেসবুক মেসেঞ্জার
ফেসবুক মেসেঞ্জার

ফেসবুকের চেয়ে এখন মেসেঞ্জারে আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। গত শুক্রবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মেসেঞ্জার ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়।

ফেসবুক বলছে, মেসেঞ্জার চ্যাটবক্স দেখে এখন ক্রেতারা কোনা কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। গত জুন মাসে করা সেন্টিনেট ডিসিশন সায়েন্স নামের একটি সমীক্ষার বরাত দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো পণ্য সম্পর্কে ৮১ শতাংশ ব্যবহারকারী মেসেঞ্জারে প্রশ্ন করেন এবং ৭৪ শতাংশ সেখান থেকে কেনাকাটার কথা ভাবেন। এর বাইরে ৭৬ শতাংশ ব্যবহারকারী মেসেঞ্জারে পণ্যবিষয়ক সেবা পেতে এবং ৭৯ শতাংশ সেখানেই প্রতিক্রিয়া জানাতে চান।

কোনো ব্যবসার সঙ্গে গ্রাহক যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য চ্যানেলের চেয়ে মেসেঞ্জার এখন বেশি জনপ্রিয়। এখন ৬৫ শতাংশ ব্যবহারকারী মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। বিশ্বের ১৪টি দেশ নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেনের করা এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান ফেসবুক ফিলিপাইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জন রুবিও।

ফেসবুকের ওই কর্মকর্তা বলেন, ই–মেইলে কেনাবেচার ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগে সময় লাগে বেশি। কিন্তু মেসেঞ্জারে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায় বলে ক্রেতারা এতে আগ্রহী হন। গ্রাহকের আচরণ বদলে যাওয়ায় এখন বাজারও বদলে গেছে। এখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গ্রাহকদের যোগাযোগে অনেকটাই বদলে গেছে। এবিএস–সিবিএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকের বৈশ্বিক তথ্য অনুসারে, ফেসবুক মেসেঞ্জার প্ল্যাটফর্মে এখন প্রতি মাসে ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের মধ্যে ১০ বিলিয়ন বার্তা আদান–প্রদান হয়। গ্রাহকেরা ফেসবুকের মেসেজিং টুল হিসেবে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ডাইরেক্ট মেসেজ ব্যবহার করছেন।

মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এখন বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও ব্যবহার করছেন। এখন গ্রাহক ও ব্যবসার মধ্যে সম্পর্ক তৈরির দারুণ প্ল্যাটফর্ম এটি। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে, গ্রাহকেরা কোথায় যাচ্ছেন। এটা বুঝতে পারলেই তাঁরা লাভবান হবেন।