কাজের সঙ্গী ট্যাব

কাজ, বিনোদন, যোগাযোগ—সহজেই সারা যায় ট্যাবলেটে। হাতে হাতে এখন ল্যাপটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি ট্যাবলেট কম্পিউটারও বেশ দেখা যাচ্ছে। ল্যাপটপের অনেক কাজই করা যায় ট্যাব বা প্যাড নামে পরিচিতি পাওয়া হাতের এই যন্ত্র দিয়ে। তারহীন ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমনি কোনো কোনো ট্যাবলেটে সিম কার্ড যুক্ত করে ফোনের কাজও করা যায়।
আধুনিক এই স্মার্ট সময়ে জীবনযাত্রায় ট্যাবলেট অনেকেরই কাজে লাগছে। আবার এর নকশা ও আকারের কারণে ফ্যাশনেবল যন্ত্র হিসেবেও কদর বাড়ছে।
শিক্ষার্থী বা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এটি বেশ কাজের। সহজে যেহেতু গ্রাফিকসের কাজ বা ভিডিও দেখানো যায়, তাই সৃজনশীল পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ কাজের। আর সহজেই ট্যাবলেটে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এটি বেশ ব্যবহার করেন। ট্যাবলেটের বাজার কেমন, তা দেখা যাক।

.
.

ট্যাবলেট যেমন
স্মার্টফোনের মতো ট্যাবলেট কম্পিউটারের পর্দা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কাজ করা যায়। সাইম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ট্যাবলেটের পর্দার আকার ৭ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে থাকে। পর্দার আকার বড় হওয়ায় অনেক ধরনের কাজ এটি দিয়ে করা যায়। আর নানা কাজের জন্য এতে থাকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)।
বাজারে যেসব ট্যাবলেট পাওয়া যায়, সেসবে এখন ১ থেকে ১.৪ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর থাকছে। এর সঙ্গে আছে ৫১২ মেগাবাইট থেকে ২ গিগাবাইট পর্যন্ত র‍্যাম। ট্যাবলেটে সামনে-পেছনে দুদিকেই ক্যামেরা থাকে, যা দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায়। সাধারণত ৫ থেকে ৮ মেগাপিক্সেল মানের পেছনের ক্যামেরা এবং ১.৩ থেকে ৫ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত সামনের ক্যামেরা থাকে। এগুলোতে ১৬ থেকে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করার ব্যবস্থা থাকছে। এর ব্যাটারির চার্জ থাকে তিন থেকে নয় ঘণ্টা। বেশির ভাগ ট্যাবলেটেই তারহীন ওয়াই-ফাই এবং মুঠোফোনের সিম কার্ড ব্যবহার করা যায়।
সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ থাকে ট্যাবলেটে।
দেশের বাজারে বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি নানা ধরনের ট্যাবলেট কম্পিউটার পাওয়া যায়। অ্যাপল, স্যামসাং, সিম্ফনি, হুয়াওয়ে ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে পাওয়া যায়। বাজারে ৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের ট্যাবলেট কম্পিউটার পাওয়া যাচ্ছে।

.
.

অ্যাপল
মডেল: আইপ্যাড প্রো ১০.৫ ইঞ্চি
তথ্য ধারণক্ষমতা: ৬৪ জিবি
দাম: ৮৩ হাজার ৪৮০ টাকা।

.
.

আমাজন
মডেল: আমাজন কিনডেল ফায়ার এইচডি ৮
র‌্যাম: ১.৫ জিবি
প্রসেসর স্পিড: ১.৩ গিগাহার্টজ
মেমোরি: ৩২ জিবি
দাম: ১৪ হাজার টাকা।

.
.

স্যামসাং
মডেল: গ্যালাক্সি ট্যাব–৩ভি (এসএম–টি১১৬এনইউ)
র‌্যাম: ১ জিবি
প্রসেসর: ১.৩০ গিগাহর্টজ
মেমোরি: ৮ জিবি
দাম: ১২ হাজার ৯২০ টাকা।

.
.

গ্যালাক্সি জে ম্যাক্স এসএম–টি২৮৫ওয়াইডি
র‌্যাম: ১.৫ জিবি
প্রসেসর: ১.৫০ গিগাহার্টজ
মেমোরি: ৮ জিবি
দাম: ১৭ হাজার ৮৫০ টাকা।

.
.

হুয়াওয়ে
মডেল: মিডিয়া প্যাড টি৩
র‌্যাম: ২ জিবি
প্রসেসর: ১.৪ গিগাহার্টজ
মেমোরি: ১৬ জিবি
দাম: ১৬ হাজার ৭০ টাকা

সিম্ফনি
মডেল: এসওয়াইএম ট্যাব২৫

র‌্যাম: ২ জিবি
প্রসেসর: ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর।
পর্দা: ৭.০ ইঞ্চি।
দাম: ৮ হাজার ৪৯০ টাকা

কেনার আগে...
 ট্যাবলেট কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা ভালো, যাতে যন্ত্রটি কেনার পর এর সঠিক ব্যবহার করা যায়।
 ট্যাবলেটটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে।
 ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে ট্যাবলেটটি কতক্ষণ চলবে।
 প্রসেসর ও র‌্যামের ক্ষমতা কত—এ দুটির ওপরই নির্ভর করবে ট্যাবলেটে কাজ করার গতি।
 মেমোরি কত?
 পর্দার রেজল্যুশন কত?
 মুঠোফোনের থ্রি–জি বা ফোর–জি নেটওয়ার্ক সমর্থন করে কি না এবং ওয়াই-ফাই সুবিধা আছে কি না।
 মাল্টিটাস্কিং সুবিধা আছে কি না।