ভ্রমণসঙ্গী যন্ত্রপাতি

>এখন ভ্রমণের সময়। কিছু যন্ত্র ব্যাকপ্যাকে না থাকলে অনেক যন্ত্রণা! এক মোবাইল ফোনেই ক্যামেরা, কম্পাস, স্পিকার, মানচিত্র থেকে শুরু করে টর্চলাইটের সুবিধা অবশ্য মেলে। তবে এর বাইরেও আরও কিছু যন্ত্র সঙ্গে থাকলে ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে সহজ–আনন্দময়। জেন নিন সেগুলো সম্পর্কে।
এরকম ভ্রমণ আরও আনন্দময় হতে পারে ছোটখাটো যন্ত্রপাতি সঙ্গে থাকলে। সেলফি: জুনায়েদ আজিম চৌধুরী
এরকম ভ্রমণ আরও আনন্দময় হতে পারে ছোটখাটো যন্ত্রপাতি সঙ্গে থাকলে। সেলফি: জুনায়েদ আজিম চৌধুরী

ফুট ওয়ারমার
শীতকাল মানেই ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার শ্রেষ্ঠ সময়। ঠান্ডার মধ্যে ‘ঘর হইতে দুই পা’ ফেলতে অবশ্য বেশ কায়দা–কসরতও করতে হয়। বিশেষ করে দেশের মধ্যে উত্তরাঞ্চল, নদীর আশপাশে গেলে শীতে পা জমে বরফ হয়ে যায়। দেশের বাইরে ভুটান, নেপাল বা ভারতের কিছু অঞ্চলে গেলেও তার চেয়ে কঠিন অবস্থা। তাই ঘর হইতে দুই পা ফেলার আগে পা গরম করার একটি যন্ত্র কিনে ফেলতে পারেন। এগুলো কিনতে ব্যাকপ্যাক (backpackbang.com) কিংবা শাদমার্টে (shadmart.com) ফরমাশ করতে পারেন। দাম পড়বে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকার মধ্যে।

 ফ্লাস্ক লাইট
ভিএসএসএল ব্র্যান্ডের এই ফ্লাস্কটি খুব বেশি দিন হয়নি বিশ্বের বাজারে এসেছে। এটাকে আপনি ভ্রমণের ‘জ্যাক অব অল ট্রেডস’ বলতে পারেন। পানি তো নেওয়া যাবেই, ফ্লাস্কটির ভেতরে আছে স্টিলের দুটি গ্লাস, ব্লেড, কম্পাস, সুতাসহ বড়শি, শক্তিশালী ফ্ল্যাশ লাইট—আর কী চাই! স্বাভাবিকভাবেই কিকস্টার্টারের নতুন এই উদ্যোগটি বেশ সাড়া ফেলেছে ভ্রমণপিয়াসীদের মধ্যে। আমাজনে এর দাম প্রায় ৭৫ ডলার। দেশে আমাজনের সুবিধা নেই, তাই ফরমাশ দিতে পারেন ব্যাকপ্যাক কিংবা শাদমার্টে (সে ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেশি পড়বে)। অথবা দেশের বাইরে থেকে পরিচিতজনদের মাধ্যমে আনিয়ে নিতেও পারেন।

 পানি বিশুদ্ধকরণ বোতল

পাকস্থলী কথা না শুনলে ভ্রমণের ষোলো আনাই মাটি। বেশির ভাগ সময় পানির কারণেই পাকস্থলী বিগড়ে যায়। তাই বিশুদ্ধ পানির কথা মাথায় রাখুন সবার আগে। দেশের ভেতরে বা বাইরে—অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ পানি মেলে না। এ ক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে পানি বিশুদ্ধকরণ বোতল। পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ভারী ধাতুসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক নিষ্ক্রিয় তো করেই, এই বোতলগুলোর ফিল্টার বদলানো যায়, আকারেও ছোট বলে বেশ কাজের। পাওয়া যাবে প্রিয়শপ (priyoshop.com), আজকেরডিল (ajkerdeal.com), পিকাবুসহ (pickaboo.com) বেশ কিছু অনলাইন শপে। দাম ২৫০–৫০০ টাকার মধ্যে।

 বহনযোগ্য ইস্তিরি

এই যন্ত্রটি করপোরেট ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ কাজে দেবে। মানে কোথাও দাপ্তরিক কাজে গিয়ে ফাঁকে ভ্রমণ করার সময় এর প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া ভ্রমণে গিয়ে কেতাদুরস্ত সাজে ছবি তুলতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরাও কিনে ফেলতে পারেন কম্পিউটারের মাউসের সমান এই আয়রনগুলো। এগুলো তাপ উৎপন্ন করতে পারে তিন মাত্রায়—অল্প, মাঝারি ও বেশি। পাওয়া যাবে প্রিয়শপ, আজকেরডিলসহ অন্যান্য অনলাইন শপে। দাম সাড়ে ৭০০ থেকে শুরু করে এক হাজার টাকার মধ্যে।

 চার্জার + ওয়াই–ফাই রাউটার

আজকাল মোবাইল ফোন ছাড়া ভ্রমণের কথা কল্পনা করাই কঠিন। ইন্টারনেট ছাড়াও চলে না। ফোন অবশ্য এত এত সুবিধা এমনিতেই দেবে না, আর সব জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগও থাকে না। তাই ভ্রমণের সময় পাওয়ার ব্যাংকও খুব জরুরি প্রয়োজন। এমনিতেই অনেকে পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখেন। এর সঙ্গে ওয়াই–ফাই রাউটারের সুবিধা থাকলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। বাজারে এখন শাওমির একটি পাওয়ার ব্যাংক ও ওয়াই–ফাই রাউটার পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু ব্র্যান্ডও এ ধরনের পণ্য বাজারে এনেছে। ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে এগুলো।