ভিপিএন নিয়ে সতর্কতা

অনলাইনে প্রাইভেসি রক্ষার পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকতে অনেকেই ভিপিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। কিন্তু অনলাইনে সুরক্ষিত রাখার পরিবর্তে আপনার সব তথ্য পাচার করে দিচ্ছে একাধিক ভিপিএন সফটওয়্যার। গুগল প্লে স্টোরের ১৫০টি জনপ্রিয় ভিপিএনের ২৫ শতাংশের বেশি অ্যাপের বিরুদ্ধে তথ্য বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত সুরক্ষায় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি টপ টেন ভিপিএন ডটকম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক পর্যালোচনায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশেষ করে যেসব ভিপিএন অ্যাপ বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়, সেগুলো থেকে বেশি তথ্য পাচার হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ ভিপিএন ব্যবহারকারীর ডিএনএস তথ্য ফাঁস করেছে। এই তথ্য ব্যবহার করে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অথবা গোয়েন্দা বিভাগ যেকোনো অনলাইন কার্যক্রমে নজরদারি করতে পারে। এ কারণে ভিপিএন ব্যবহার করেও অনলাইনে সুরক্ষিত থাকছেন না ব্যবহারকারী।

পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ১৫০টি ভিপিএন অ্যাপের মধ্যে ৯৯টি অপ্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য অনুমতি চায়। ৩৮টি ভিপিএন অবস্থানগত তথ্য আর ৫৭টি ব্যক্তিগত তথ্য নিতে চায়। এ ছাড়া ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, বার্তা পড়ার অনুমতিও চায় এসব অ্যাপ। সাধারণত, ভিপিএন অ্যাপের এসব তথ্য কাজে লাগে না। তাই এ ধরনের তথ্য নেওয়ার অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক।

প্লে স্টোরে থাকা জনপ্রিয় ভিপিএন অ্যাপ হটস্পটশিল্ড ফ্রি, সুপার ভিপিএন, হাই ভিপিএন, হটস্পটশিল্ড বেসিক, শিফন প্রো, টার্বো ভিপিএন, ভিপিএন মাস্টার, স্ন্যাপ ভিপিএন, হোলা ও স্পিড ভিপিএনে কোনো ম্যালওয়্যার পাওয়া যায়নি। তবে এসব অ্যাপের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু তথ্যের অনুমতি চাওয়া সন্দেহজনক।