গুগল প্লাস চিরতরে মাইনাস

ইন্টারনেট থেকে চিরবিদায় নিয়েছে গুগলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুগল প্লাস। ২০১১ সালে চালু হওয়া এই মাধ্যম গত মঙ্গলবার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুগলের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ এবং বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার মাধ্যমে মাধ্যমটির আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটল। এর পরপরই গুগল প্লাস ব্যবহারকারীদেরও মাধ্যমটির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গুগল প্লাসের সব সেবাও। শুধু গুগলের ব্যবসায়িক প্রিমিয়াম সেবা জি সুইটের জন্য এখনো চালু রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। গত বছরের ডিসেম্বরে গুগল প্লাস বন্ধের ঘোষণা দেয় গুগল।

ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতোই ছিল গুগল প্লাস। তবে এর নকশা ও ব্যবহারবিধি ছিল খুবই সাদাসিধে। গুগলের জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গুগল প্লাসের ব্যবহারকারী হতে হতো। তবে গুগলের অন্যান্য সেবা যতটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ততটাই দুর্বল ছিল গুগল প্লাস।

গুগল প্লাসের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ারও অভিযোগ ছিল। এটি স্বীকারও করেছে গুগল। নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে প্রায় ৫ লাখ গ্রাহকের তথ্য বেহাত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এসব কারণেই জনপ্রিয়তা পায়নি সেবাটি।

প্রায় ২০০ কোটি গুগল প্লাস গ্রাহকের মাত্র ৪০ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। তাঁরা গড়ে যোগাযোগমাধ্যমটিতে অবস্থান করতেন মাত্র ৪ মিনিট। যেখানে গুগলের ভিডিও সেবা ইউটিউবের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ১৫০ কোটি, প্রত্যেকে গড়ে ৪০ মিনিট করে ভিডিও দেখেন। গুগল প্লাস টিকিয়ে রাখার গুগলের সব চেষ্টা বৃথা গেছে। নিরুপায় হয়েই সেবাটি বন্ধ করে দিল গুগল।

শাওন খান, সূত্র: সিনেট