ডিজিটাল লেনদেনে বেড়েছে ঈদের কেনাকাটা

ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনকে কেন্দ্র করে মোবাইল ফোননির্ভর লেনদেন বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। মোবাইল লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয় বিকাশে। এ ছাড়া রকেট, নগদ, আইপে ইত্যাদি সেবাও রয়েছে বাজারে।

বিকাশ লিমিটেডের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম জানালেন, ২০১৮ সালে পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৪ লাখ মানুষ কেনাকাটায় বিকাশ ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমরা আশা করছি, ২০১৯ সালে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৬ লাখ মানুষ বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করবেন।’

শুধু লেনদেন বা কেনাকাটার টাকা পরিশোধই নয়, ঈদ উপলক্ষে ক্যাশব্যাক বা টাকা ফেরত পাওয়ার সুবিধাও পান গ্রাহকেরা। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, একই সঙ্গে ক্যাশআউট (টাকা তোলা) না করে সরাসরি বিকাশ ওয়ালেট থেকেই এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দোকান ও ই-কমার্স সাইটে পণ্যের দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে। এতে গ্রাহকের পেমেন্ট করতেও যেমন খরচ লাগছে না, একই সঙ্গে ক্যাশআউটের খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাশব্যাকের কারণে পণ্য বেশি বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারাও উপকৃত হন।’

এ বছর পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬৫০টি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের ৪ হাজার ৩০০টির বেশি দোকানে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক সুবিধা দিচ্ছে বিকাশ। অনেক ই-কমার্স সাইট রয়েছে এই তালিকায়। সারা দেশে ছোট ছোট প্রায় ছয় হাজার মার্চেন্ট পয়েন্টে মিলছে ১ হাজার টাকার পেমেন্টে ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক সুবিধা। সুপারশপগুলোতে ১ হাজার টাকার পণ্য কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক।

পণ্য এবং সেবার পেমেন্ট, প্রিয়জনকে টাকা পাঠানো, মোবাইল ফোন রিচার্জ, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, ঈদযাত্রার পরিবহন টিকিটসহ আরও নানা প্রয়োজনে উৎসবের সময়ে বিকাশকে গ্রাহকেরা বেছে নেন। বিকাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা জীবনযাত্রায় যুক্ত হয়েছে দারুণ এক অনুষঙ্গ হিসেবে। জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ঈদের আগের কয়েক দিনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে লেনদেন হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও মাস্টারকার্ড থেকে গ্রাহক নিজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সেবা পাচ্ছেন।

ডিজিটাল লেনদেন এখন উৎসবের অনুষঙ্গ। শামসুদ্দিন হায়দার বললেন, আর্থিক লেনদেনে গ্রাহকের আরও বেশি স্বাধীনতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ডিজিটাল লেনদেনের কারণে। একই সঙ্গে প্রতিটি লেনদেনের রেকর্ড থাকায় এর নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।